আক্রান্ত শিশুর মল দ্বারা দূষিত পানি খেলে বা আক্রান্ত শিশুর সংস্পর্শে এলে এই রোগ হতে পারে।
লক্ষণ: শিশুর সর্দি, কাশি ও সামান্য জ্বর হয়, মাথাব্যথা হয়, ঘাড় শক্ত হয়ে যায়, হাত অথবা পা অবশ হয়ে যায়।
করণীয়: এক মাস পর তিন ডোজ ও হামের টিকা দেওয়ার সময় আরও একবার অর্থাৎ মোট চারবার পোলিও টিকা শিশুর এক বছর বয়সের ভেতরে খাওয়ানো হলে তা শিশুর দেহে পোলিও রোগ প্রতিরোধ করে।
হাম
হামে আক্রান্ত শিশুর কাছ থেকে এই রোগের জীবাণু বাতাসের মাধ্যমে সুস্থ শিশুর শরীরে প্রবেশ করে।
লক্ষণ:
১-৩ দিন: বেশি জ্বর ও সর্দি-কাশি হয়, চোখ লাল হয়ে যায়; জ্বর কমে আসে,
মুখ ও শরীরে লালচে দানা দেখা দেয়। হামের দানা ওঠার তিন-চার দিন পর দানা কালচে হয়ে একসময় খুশকির মতো হয়ে ঝরে যায়।
করণীয়:
শিশুর ৯ মাস বয়স পূর্ণ হওয়ার পর তাকে এক ডোজ হামের টিকা দিলে সে রোগটি থেকে রক্ষা পাবে।
ডায়রিয়া
ডায়রিয়া বাচ্চাদের খুব পরিচিত একটা রোগ। এই সময় রোগটির প্রকোপও বেশি থাকে। ডায়রিয়া মূলত খাদ্য ও পানিবাহিত রোগ। অর্থাৎ খাবার ও পানির মাধ্যমে জীবাণু শরীরের ভেতর প্রবেশ করে।
লক্ষণ:
নিস্তেজ হয়ে পড়া, চোখ বসে যাওয়া, বারবার বমি করা।
করণীয়:
শিশুকে বারবার তরল খাবার, যেমন ডাব ও চিড়ার পানি, ভাতের মাড়, টক দই ও লবণ-গুড়ের শরবত প্রভৃতি খাওয়াতে হবে। পাশাপাশি খাওয়ার স্যালাইন দিতে হবে। তাজা ফলের রস দিলে পটাশিয়ামের ঘাটতি পূরণ হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো অ্যান্টিবায়োটিক বা অন্য কোনো ওষুধ শিশুকে খাওয়ানো যাবে না।
ডা. এমএ রাজ্জাক
সিটি হোমিও ইন্টারন্যাশনাল
জয়কালী মন্দির ঢাকা