পোল্ট্রি শিল্পের আগাম কর প্রত্যাহার

নিজস্ব প্রতিবেদক: পোল্ট্রি শিল্পে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি ও উপকরণ আমদানিতে আগাম কর (এটি) প্রত্যাহার করা হয়েছে। ২০১৯ সালের ৩০ জুনের একটি এসআরও (এসআরও নং-২৩৯/আইন/২০১৯/৭৫-মূসক) সংশোধনের মাধ্যমে এটি প্রত্যাহার করা হয়েছে। গত বুধবার (২৫ মার্চ) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম সই করা প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আমদানিকৃত ড্রেজার, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক নিবন্ধিত পোল্ট্রি, গবাদি পশুর প্রতিষ্ঠান, অ্যানিমেল হেলথ কোম্পানি, পোল্ট্রি, লাইভস্টক ও ডেইরি ফিড প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান। বা মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃক নিবন্ধিত ফিশারি ও মৎস্য ফিড প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সকল পণ্য, সয়াবিন মিল, কর্ন গ্লুটিন মিল, রেপসীড এক্সট্রাকশনসহ মৎস্য ও পশু খাদ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত অন্যান্য আমদানিকৃত খাদ্য উপকরণ বা কাঁচাামল এবং একদিন বয়সী মুরগির বাচ্চার ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য হবে।

বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাষ্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি) সূত্র জানায়, বিগত ১০ বছরে আন্তর্জাতিক বাজারে ভুট্টা, সয়াবিন মিলসহ অত্যাবশ্যকীয় কাঁচামালের দাম অব্যাহতভাবে বেড়েছে। বিগত ১২ বছরে পোল্ট্রি ফিডের কাঁচামালের দাম ক্ষেত্র বিশেষে ২৭ শতাংশ থেকে ৩১৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। মুরগির মাংস ও ডিমের উৎপাদন খরচ দিন দিন বাড়ছে কারণ বিগত ১০ বছরে আন্তর্জাতিক বাজারে ভুট্টা, সয়াবিন মিলসহ অত্যাবশ্যকীয় কাঁচামালের দাম অব্যাহতভাবে বেড়েছে। সেই সাথে বেড়েছে ওভারহেড খরচ।

এছাড়া ২০১৫-১৬ অর্থবছর থেকে কর অব্যাহতি সুবিধা তুলে নেয়ায় পোল্ট্রির উৎপাদন খরচ বেড়েছে। বাস্তবতা হচ্ছে-পোল্ট্রি ফিডের প্রধান উপকরণ ভুট্টার মাত্র ৫০ ভাগ দেশে উৎপাদিত হয়, সয়াবিন উৎপাদিত হয় না বললেই চলে। তাছাড়া ডিডিজিএস, রেপসীড ও গ্লুটিন মিলসহ বেশিরভাগ ঔষধ ও প্রিমিক্স এখনও আমদানি নির্ভর। সয়াবিন মিল আমদানিতে ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর (এআইটি) বহাল আছে এবং ৫ শতাংশ রেগুলেটরি ডিউটি চলতি অর্থবছরে নতুনভাবে যুক্ত করা হয়েছে। স্থানীয়ভাবে পণ্য সংগ্রহে ২ থেকে ৫ শতাংশ উৎসে কর কর্তনের বিধান যুক্ত করা হয়েছে। তাছাড়া পশুখাদ্য প্রস্তুততকারক প্রতিষ্ঠানের করপোরেট ট্যাক্স শূণ্য থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ১৫ শতাংশ।

###

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০