নিজস্ব প্রতিবেদক: ইউক্রেন থেকে সীমান্ত অতিক্রম করে পোল্যান্ডে পৌঁছেছেন ছয় শতাধিক বাংলাদেশি। আর ইউক্রেনে একশ’র মতো বাংলাদেশি এখন থাকতে পারেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মাসুদ বিন মোমেন আরও জানান, ইউক্রেনে যারা এখন আছেন, তাদের বেশির ভাগেরই ফ্যামিলি আছে। তারা হয়তো ইউক্রেন ছাড়বেন না।
তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনে কিছু পকেট আছে, সেখানে বাংলাদেশি থাকতে পারেন। আমরা সেখানকার ভারতীয় দূতাবাসকে অনুরোধ জানিয়েছি, ভারতীয়দের উদ্ধারের সময় যদি বাংলাদেশিরা সেখানে যদি থাকেন, তাহলে তাদেরও যেন সঙ্গে নেন।’
যুদ্ধের ফলে রূপপুর প্রকল্পে প্রভাব পড়বে কি নাÑজানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার ফলে ফুল রেঞ্জে কী প্রভাব পড়বে, সেটা নিয়ে আলোচনা করছি। আমরা এটা নিয়ে বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কথা বলছি। এটা নিয়ে আরও বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে এখনই কোনো প্রভাব পড়বে না।’
এদিকে ইউক্রেন থেকে উদ্ধার ‘এমভি বাংলা সমৃদ্ধি’র নাবিকদের মলদোভা হয়ে রোমানিয়ায় নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, ইউক্রেন থেকে প্রথমে পাশের দেশ মলদোভা হয়ে রোমানিয়ায় নেয়া হবে। এরপর রোমানিয়া থেকে দেশে ফেরানো হবে।
বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের মালিকানাধীন জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ ইউক্রেনের ওলভিয়া বন্দরে গিয়ে যুদ্ধের মধ্যে আটকে পড়ে। বুধবার সন্ধ্যার দিকে জাহাজটিতে রকেট হামলা হয়। ক্রুদের চেষ্টায় আগুন নেভানো গেলেও ব্রিজে থাকা জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমানের মৃত্যু হয়।
ওই নৌযানে ক্ষয়ক্ষতি আর উদ্বেগের মধ্যে শুক্রবার বাংলার সমৃদ্ধিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে ২৮ নাবিককে সরিয়ে নেয়া হয়। হাদিসুরের মরদেহও তাদের সঙ্গেই রয়েছে।
ইউক্রেনের শেল্টার হোম থেকে তাদের প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ড হয়ে ফেরানোর পরিকল্পনার কথা প্রাথমিকভাবে জানিয়েছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। তবে যুদ্ধ পরিস্থিতি বিবেচনায় নাবিকদের উদ্ধারের গতিপথ পরিবর্তনের সম্ভাবনার কথা জানানো হয় পরে।