নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশে শতভাগ রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাকশিল্পের যাত্রা শুরু হয় দক্ষিণ কোরিয়ার হাত ধরে। কোরীয় কোম্পানি দাইয়ুর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয় দেশ গার্মেন্টস। ১৩০ কর্মী ও কর্মকর্তাকে দক্ষিণ কোরিয়ায় নিয়ে দেয়া হয় ছয় মাসের প্রশিক্ষণ। সেই প্রশিক্ষণ যারা পেয়েছেন তাদের অনেকেই এখন পোশাক কারখানার মালিক। বাংলাদেশে এ খাতে বিনিয়োগ করেছেন অনেক কোরীয় উদ্যোক্তাও। তৈরি পোশাক খাতে বাংলাদেশ-কোরিয়ার সাফল্যকে এবার অন্য খাতেও বিকশিত করতে আগ্রহী দক্ষিণ কোরিয়া।
গতকাল এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ আগ্রহের কথা জানান ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং কিউন। রাজধানীর মতিঝিলে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সৌজন্য সাক্ষাতে রাষ্ট্রদূত জানান, ২০২২ সালে বাংলাদেশ-দক্ষিণ কোরিয়া কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দুদেশের সম্পর্ককে নতুন মাত্রায় নিতে চায় সিউল। এজন্য তৈরি পোশাকের বাইরে অন্যান্য খাতেও কোরিয়ান বিনিয়োগ বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণে দক্ষিণ কোরিয়া পঞ্চম শীর্ষ দেশ বলে জানান রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং কিউন।
সাক্ষাতে এফবিসিসিআই সভাপতি কোরিয়াকে বাংলাদেশের অবকাঠামো খাত ও ম্যান মেড ফাইবার খাতে বিনিয়োগর আহ্বান জানান। সভাপতি বলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিশাল বাজার, ক্রমবর্ধমান রপ্তানি, বিদ্যুৎ ও অবকাঠামোর সহজপ্রাপ্যতা, সরকারি নীতি সহায়তা ও বিপুলসংখ্যক কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর কারণে বিদেশি বিনিয়োগের সুবর্ণ সময় পার করা হচ্ছে। যে দেশ এ সুযোগ কাজে লাগাবে তারাই লাভবান হবে।
বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ-সুবিধা তুলে ধরতে কোরিয়ায় রোডশো কিংবা বিনিয়োগ সম্মেলন আয়োজনের ব্যাপারে বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) সঙ্গে আলোচনা করা হবে বলে জানান সভাপতি। এছাড়া চলতি বছরে কোরিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (কেবিসিসিআই) ও এফবিসিসিআইয়ের যৌথ উদ্যোগে একটি বাণিজ্য সংলাপ আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, সহসভাপতি এমএ মোমেন, মো. আমিন হেলালী, মো. হাবীব উল্লাহ ডন, পরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত সরকার, মো. রেজাউল করিম রেজনু, ড. নাদিয়া বিনতে আমীন, মো. নিজাম উদ্দীন, নাজ ফারহানা আহমেদ, কেবিসিসিসিআইয়ের সভাপতি, মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান ও এমডি মোস্তফা কামাল, উপদেষ্টা সাহাব উদ্দীন খান, কোরিয়া ট্রেড-ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশনাল এজেন্সির মহাপরিচালক কিম ডং হিউন, দূতাবাসের প্রথম সচিব লি জুংইউল ও এফবিসিসিআইয়ের মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হক।