Print Date & Time : 19 June 2025 Thursday 7:12 pm

পোশাক কারখানায় ঈদের ছুটি ২১ এপ্রিল থেকে

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য তারিখ আগামী ২২ এপ্রিল শনিবার। সে হিসেবে ২১ এপ্রিল শুক্রবার থেকে ছুটি শুরু হবে বলে জানিয়েছে তৈরি পোশাক মালিক ও রপ্তানিকারক সমিতি বিজিএমইএ।

এ ছুটি নির্ভর করবে চাঁদ দেখার ওপর। তবে নিজ নিজ কারখানা নিজস্ব শিপমেন্ট, কার্যাদেশ প্রোডাকশনের সঙ্গে সমন্বয় করে যদি সুযোগ থাকে ঈদের দুই-তিন দিন আগে শ্রমিকদের ছুটি দেয়ার অনুরোধ করে সংগঠনটি। এটি সরকারি ছুটি বা সাপ্তাহিক ছুটির দিন শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে জেনারেল ডিউটি করিয়ে সমন্বয় করা যাবে।

গত সোমবার সদস্যভুক্ত কারখানাগুলোকে নির্দেশনা দেয় পোশাক খাতের এ সংগঠনটি। একই সঙ্গে রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাকশিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকদের নিরাপদে গ্রামের বাড়ি যাওয়া-আসা নিয়ে ছয় দিকনির্দেশনা দিয়েছে পোশাক মালিকদের সবচেয়ে বড় সংগঠন বিজিএমইএ। সংগঠনটির সভাপতি ফারুক হাসান স্বাক্ষরিত এক চিঠি সদস্যভুক্ত কারখানা মালিক বরাবর পাঠানো হয়েছে।

কারখানা মালিকদের প্রতি বিজিএমইএ’র চিঠিতে বলা হয়, ঈদের ছুটিতে সড়ক, রেল এবং লঞ্চ যাত্রায় একই দিন অতিরিক্ত শ্রমিকের চাপ কমানোর লক্ষ্যে সরকারের বিভিন্ন দপ্তর থেকে ধাপে ধাপে শ্রমিকদের ছুটি দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। নিজ নিজ কারখানা নিজস্ব শিপমেন্ট, কার্যাদেশ ও প্রোডাকশনের সঙ্গে সমন্বয় করে যদি সুযোগ থাকে ঈদের দুই-তিন দিন আগে শ্রমিকদের ছুটি দিতে পারবে। কারখানা কর্তৃপক্ষ যদি মনে করে তবে রমজান মাসে বিভিন্ন সরকারি বা সাপ্তাহিক ছুটির দিনে শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে জেনারেল ডিউটি করে এসব ছুটি সমন্বয় করা যাবে।

শ্রমিকদের জন্য ছয় নির্দেশনার মধ্যে ঈদের আগে শেষ কার্যদিবসে শ্রমিকদের ছুটির প্রাক্কালে মাল বোঝাই করা ট্রাকে যাতায়াত না করা, তাড়াহুড়ো না করা, রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক রেখে ফুটপাত দিয়ে হাঁটা, সাধারণ মানুষের যাতায়াতে বিঘœ না করা এবং অপরিচিত লোকদের দেয়া খাবার না খাওয়ার বিষয়ে সচেতন করার আহ্বান জানানো হয়।

চিঠিতে বলা হয়, শেষ কর্মদিবসে শ্রমিকদের নিরাপদে গ্রামের উদ্দেশে যাত্রা করার জন্য প্রয়োজনে কারখানা কর্তৃপক্ষ আট থেকে ১০ জনের টিম গঠন করে স্থানীয় ট্রাফিক ডিপার্টমেন্টের সহযোগিতা নিতে পারবে। কোনো পক্ষ যাতে শ্রমিক অসন্তুষ্ট হওয়ার কোনো ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করতে না পারে, সেই দৃষ্টি রাখতে হবে।

কারও প্ররোচনায় শ্রম অসন্তোষ সংঘটিত হতে পারে, এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্তের কথা জানতে পারলে প্রয়োজনে স্থানীয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, কলকারখানা অধিদপ্তর অথবা বিজিএমইএ’র সঙ্গে আলোচনা করার অনুরোধ জানিয়েছে পোশাক মালিকদের সংগঠনটি।