নিজস্ব প্রতিবেদক: গাজীপুর, সাভার ও আশুলিয়ার পোশাক কারখানার নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। গতকাল শনিবার এসব এলাকায় মোট ১৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
গত কয়েক দিন ধরে মজুরি বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলন করছেন পোশাকশ্রমিকরা। এ সময় কারখানায় আগুন দেয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এ ছাড়া পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে বলেও দাবি করেন আন্দোলনরত শ্রমিকেরা।
বিজিবি জানিয়েছে, পোশাক কারখানার নিরাপত্তা জোরদারে গাজীপুর, কোনাবাড়ী, সফিপুর, চন্দ্রা, সাভার ও আশুলিয়া এলাকায় মোট ১৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। এর মধ্যে গাজীপুরে আট প্লাটুন, সাভার ও হেমায়েতপুরে দুই প্লাটুন এবং আশুলিয়া এলাকায় চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম জানান, দেশের গাজীপুর, কোনাবাড়ী, সফিপুর, চন্দ্রা, সাভার ও আশুলিয়া এলাকায় ১৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে শনিবারও সাভারের আশুলিয়ায় মজুরি বাড়ানোর দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকেরা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ইট-পাটকেল, টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
গতকাল সকাল সাড়ে ৮টায় আশুলিয়ার জামগড়া ও ছয়তলা এলাকায় শ্রমিক বিক্ষোভের ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে পোশাকশ্রমিকরা জামগড়া ও বাইপাইল এলাকায় টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়ক অবরোধের চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ সড়ক থেকে শ্রমিকদের ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দিলে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা। পরে পুলিশ শ্রমিকদের লক্ষ করে টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।
ঢাকা জেলা উত্তর ডিবি পুলিশের ওসি রিয়াজুল হক বলেন, ‘শ্রমিকরা পুলিশকে লক্ষ করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ কিছু ফাঁকা গুলি ছোড়ে।’
আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদ নাসের জনি বলেন, ‘আশুলিয়ায় শ্রমিকেরা রাস্তা অবরোধ করার চেষ্টা করেছিল। শ্রমিকদের বোঝাতে গেলে তারা পুলিশকে লক্ষ করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ টিয়ারশেল ও জলকামান ব্যবহার করেছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।’