নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের পোশাক খাতকে তুলে ধরতে নভেম্বরে সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ উইক’। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটি উদ্বোধন করবেন। গতকাল রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ’র নতুন ভবন বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন সংগঠনের সভাপতি ফারুক হাসান। এসময় বিজিএমইএর সহসভাপতি শহীদুল্লাহ আজীম, পরিচালক সেহেরিন সালাম ঐশীসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
এ আয়োজনে আইএমএফ ওয়ার্ল্ড ফ্যাশন কনভেনশন, ঢাকা অ্যাপারেল সামিট, বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপোর মতো অনুষ্ঠানও রয়েছে।
ফারুক হাসান জানান, আমরা সাত দিনব্যাপী ‘মেইড ইন বাংলাদেশ উইক’-এর আয়োজন করতে যাচ্ছি। পোশাকশিল্পকে নিয়ে সপ্তাহব্যাপী এ ধরনের আয়োজন এবারই প্রথম। এর মাধ্যমে আমরা শিল্পকে ব্র্যান্ডিং করার পাশাপাশি করোনা মহামারি থেকে যে আমরা ঘুরে দাঁড়াচ্ছি, টেকসই শিল্পকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করে যাচ্ছি, সেই গুরুত্বপূর্ণ বার্তাটি বিশ্বের কাছে পৌঁছে দিতে চেষ্টা করব। এটি শুধু পোশাকশিল্পের জন্যই তাৎপর্যপূর্ণ হবে না, বরং দেশ হিসেবেও আমাদের অর্জনগুলো তুলে ধরতে পারব।
তিনি জানান, আগামী ১২ থেকে ১৮ নভেম্বর রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ‘মেইড ইন বাংলাদেশ উইক’ ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আগামী ১৩ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ উইক’ উদ্বোধন করবেন বলে কথা রয়েছে।
বিজিএমইএ সভাপতি জানান, বাংলাদেশের পোশাক, ৩৭তম আইএএফ ওয়ার্ল্ড ফ্যাশন কনভেনশন ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। টেক্সটাইল ও আনুষঙ্গিক অন্য পণ্যগুলো একই ছাদের নিচে প্রদর্শনীর জন্য তিন দিনব্যাপী ঢাকা অ্যাপারেল এক্সপো’র আয়োজন করা হচ্ছে, যা ১৪-১৬ নভেম্বর ৩নং হলে অনুষ্ঠিত হবে। এটি বৈশ্বিক ক্রেতা ও তাদের প্রতিনিধিদের একই ছাদের নিচে প্রতিযোগিতামূলক সোর্সিং অফারসহ বিভিন্ন ক্যাটেগরির পণ্য ও পরিষেবার
বিষয়ে ধারণা গ্রহণের সুযোগ করে দেবে। এছাড়া দেশের ডেনিম খাতের অগ্রযাত্রাকে তুলে ধরতে আগামী ১৫ ও ১৬ নভেম্বর ডেনিম এক্সপো অনুষ্ঠিত হবে। একই দিনে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা’র হল-২’তে সাসটেইনেবল ডিজাইন অ্যান্ড ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি আরও জানান, পোশাকশিল্পের গুরুত্বপূর্ণ ও ইতিবাচক দিকগুলো বিশ্বদরবারে উপস্থাপন করা, পোশাকশিল্পের ভাবমূর্তি উন্নয়নের মাধ্যমে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ ব্র্যান্ডের বৈশ্বিক ধারণার পরিবর্তন করা এবং আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড ও রিটেইলারদের কাছে বাংলাদেশের পোশাকশিল্পকে টেকসই ও ইনোভেটিভ শিল্প হিসেবে উপস্থাপন করার মাধ্যমে সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে একটি বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।