নিজস্ব প্রতিবেদক: বন্ড ইস্যুর প্রস্তাবে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সম্মতি পেয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল পিএলসি। ব্যবসা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এই বন্ড ইস্যু করছে কোম্পানিটির। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, গত ২২ ফেব্রুয়ারি বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৯০১তম কমিশন সভায় বন্ডটির অনুমোদন দেয়া হয়। ২৫০ কোটি টাকা মূল্যের এ বন্ডটি হবে অসুরক্ষিত, অপরিবর্তনশীল এবং সম্পূর্ণ পরিশোধযোগ্য জিরো কুপন বন্ড। বন্ডটি ৯ থেকে ১২ শতাংশ ডিসকাউন্টে বিক্রি করা হবে। এর প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য ১০ লাখ টাকা। বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থ কোম্পানিটি আর্থিক খরচ ন্যূনতমকরণ এবং ব্যবসায় সম্প্রসারণে ব্যবহার করবে। এ বন্ডের ট্রাস্টির দায়িত্বে রয়েছে সেনা কল্যাণ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড এবং অ্যারেঞ্জারের দ্বায়িত্বে থাকছে এনডিবি ক্যাপিটাল লিমিটেড। বন্ডটি অলটারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে তালিকাভুক্ত হবে।
চলতি ২০২৩-২৪ হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২৩) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৭২ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ২ টাকা ৩৬ পয়সা। অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় আগের বছরের তুলনায় ৬৪ পয়সা কমেছে। আর চলতি হিসাববছরের প্রথমার্ধে বা প্রথম দুই প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে তিন টাকা ছয় পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে ছিল তিন টাকা ৯৮ পয়সা। অর্থাৎ প্রথমার্ধে প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের ইপিএস কমেছে ৯২ পয়সা। অন্যদিকে ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৩৮ টাকা ১৬ পয়সা। আর প্রথমার্ধে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে তিন টাকা ৮৭ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল চার টাকা ৩৬ পয়সা।
উল্লেখ্য, বস্ত্র খাতের কোম্পানি প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল ২০১৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৬২ কোটি ৮৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৩৭১ কোটি ২১ লাখ টাকা। কোম্পানিটির ১৬ কোটি ২৮ লাখ ৩৩ হাজার ৫৩২ শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৬০ দশমিক ৯৫ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১০ দশমিক ৫৪ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে চার দশমিক ৩৩ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ২৪ দশমিক ১৮ শতাংশ শেয়ার।
সর্বশেষ কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭ টাকা ৫১ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩৬ টাকা ১০ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৫ টাকা ৮৭ পয়সা। এর আগে ৩০ জুন, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ৬৭ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৯ টাকা ৬০ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে তিন টাকা ৫১ পয়সা। আর ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ শুধু সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ২০ শতাংশ নগদ আর সব বিনিয়োগকারীর জন্য পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে চার টাকা ২৭ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৭ টাকা ২৪ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে পাঁচ টাকা ১৪ পয়সা।