প্যাসিফিক গ্রুপ

রতন কুমার দাস: বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় গ্রুপ অব কোম্পানিজ প্যাসিফিক গ্রুপ। দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মীদের সমন্বয়ে গঠন করা হয়েছে গ্রুপটির জনবল। এর বিভিন্ন খাতে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ কর্মরত রয়েছেন। সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয় এখানে।

প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে সুনামের সঙ্গে কাজ করে আসছে প্যাসিফিক গ্রুপ। কর্মীবান্ধব হিসেবে সুনাম রয়েছে তাদের। পেশাগত ক্যারিয়ার উন্নয়ন, নমনীয় ও সময়োপযোগী কর্মপরিবেশ, কর্মদক্ষতা ও নৈপুণ্য মূল্যায়নের মাধ্যমে দক্ষ কর্মিবাহিনী গড়ে তোলা হয়েছে। এখানে কাজ করছেন

দেশি-বিদেশি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ার ও সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। সময়ের প্রয়োজনে কর্মীদের দক্ষ করে তুলতে যথাযথ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে প্যাসিফিক গ্রুপ। কর্মীদের উদ্ভাবনী শক্তি ও উন্নয়নে গুরুত্ব দিয়ে থাকে তারা। কর্মস্থলে দুর্ঘটনা এড়াতে এর সব বিজনেস ইউনিটে বিশ্বমানের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। ঝুঁকি এড়াতে বিভিন্ন ধরনের নিয়ম মেনে চলেন তারা। নানা উৎসব-পার্বণে ভাতা দিয়ে থাকে গ্রুপটি। বেতনভাতা দিতে কখনও বিলম্ব হয় না। সব সময় কর্মীদের প্রাপ্য বুঝিয়ে দিতে তৎপর থাকে। এখানে সম-অধিকারের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে আরামপ্রদ ও নিরাপদ কর্মক্ষেত্র নিশ্চিত করে চলেছে প্যাসিফিক গ্রুপ। সঙ্গত কারণে কর্মপরিবেশ নিয়ে কর্মীরা সন্তুষ্ট।

পরিবেশবান্ধব প্রতিষ্ঠান হিসেবে সুনাম রয়েছে গ্রুপটির। সুপরিকল্পিতভাবে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে গ্রুপটির সব কারখানা। এভাবে প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসনের পাশপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে কাজ করে প্যাসিফিক গ্রুপ। বাংলাদেশের জনসাধারণের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছে তারা। উৎপাদন, ট্রেডিং, আর্থিক ও সেবা খাতে শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান হতে চায় তারা। সব মিলিয়ে দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে গ্রুপটি।

বিজনেস ইউনিট

গ্রুপটির অন্যতম অঙ্গপ্রতিষ্ঠান প্যাসিফিক ডেনিমস লিমিটেড। বছরে প্রায় ১৮ মিলিয়ন গজ কাপড় উৎপাদন করে থাকে। ডায়িং, উইভিং ও ফিনিশিংয়ে মানের বেলায় কোনো আপস করে না এই প্রতিষ্ঠান। মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার প্রতিষ্ঠানটির কারখানা অবস্থিত।

শতভাগ রফতানিমুখী এই প্রতিষ্ঠান। সঠিক সময়ে তৈরি পোশাক সরবরাহ করে থাকে প্যাসিফিক ডেনিমস। সর্বোচ্চ গুণগতমান নিশ্চিতের পরই পণ্য রফতানি করে থাকে। তাদের ক্রেতাদের মধ্যে রয়েছে মার্ক অ্যান্ড স্পেনসার, টেসকো, জারা, এইচ অ্যান্ড এম, ওয়ালমার্ট প্রভৃতি। প্রতিষ্ঠানটি ২০১৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। এ বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি লেনদেন শুরু করে। বস্ত্র খাতের এই কোম্পানির অনুমোদিত মূলধন রয়েছে ১২০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন রয়েছে ১১৩ কোটি টাকা। পুঁজিবাজারে প্যাসিফিক ডেনিমসের ১১ কোটি ৩০ লাখ শেয়ার রয়েছে। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে ৩০ দশমিক ৯৭ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ২০ দশমিক ৭৫ শতাংশ, সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ৪৮ দশমিক ২২ শতাংশ ও বিদেশি বিনিয়োগকারী শূন্য দশমিক ৪৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

দেশের যোগাযোগ খাতে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছে প্যাসিফিক গ্রুপের অন্যতম বিজনেস ইউনিট প্যাসিফিক অ্যাভিয়েশন। ছোট গাড়ি বড় স্বপ্ন স্লোগান নিয়ে অটোমোবাইল খাতে ভূমিকা রাখছে প্যাসিফিক অটোমোবাইলস লিমিটেড। ১.৫ টন, তিন টন, মাইক্রোবাস, মিনি ট্রাক ও থ্রি হুইলার তৈরি করে এ প্রতিষ্ঠান। খাদ্য সংরক্ষণেও মনোযোগ দিয়েছে গ্রুপটি। এজন্য উইলসন কোল্ড স্টোরেজ নামের একটি বিজনেস ইউনিট রয়েছে তাদের। ওই প্রতিষ্ঠান আলু সংরক্ষণ করে থাকে। ১৪ হাজার টন আলু হিমায়িত করতে পারে স্টোরেজটি। এর চারটি ইউনিট রয়েছে। কুমিল্লার হোসেনপুরে হিমাগারটি অবস্থিত। রিয়েল এস্টেট খাতেও একটি বিজনেস ইউনিট রয়েছে ডিজনি প্রোপারটিজ লিমিটেড। রাজধানীর গুলশান, বসুন্ধরা, মোহাম্মদপুর, ক্যান্টনমেন্ট, মধ্য বাড্ডা ও উত্তরায় তাদের বেশ কয়েকটি প্রকল্প রয়েছে।

একনজরে বিজনেস ইউনিট

প্যাসিফিক ডেনিমস লিমিটেড

ডিজনি প্রোপারটিজ লিমিটেড

প্যাসিফিক অ্যাভিয়েশন লিমিটেড

উইলসন কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেড

প্যাসিফিক অটোমোবাইলস লিমিটেড

অর্জন

১২তম বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাওয়ার্ড ২০০৯-১০

১৪তম বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাওয়ার্ড ২০১০-১১

সেকেন্ড ইন্টারন্যাশাল এক্সিবিশন অব ম্যারিনটেক বাংলাদেশ

দ্য ফিন্যান্সিয়াল মিরর অ্যাওয়ার্ড

চ্যানেল আই অ্যাওয়ার্ড

অর্থকণ্ঠ বিজনেস অ্যাওয়ার্ড ২০১২

“কর্মসংস্থান সৃষ্টিই আমাদের লক্ষ্য। উৎপাদন ও সেবার সব ক্ষেত্রে স্বচ্ছতার পরিচয় দিয়ে থাকি। নতুন শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কাজ করে যাচ্ছি আমরা। মানবসম্পদের যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে কাজ করছি।”

 

মো. সফিউল আজম (মহসিন)

সিইও ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক, প্যাসিফিক গ্রুপ

 

 

 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০