Print Date & Time : 19 June 2025 Thursday 4:08 pm

প্যাসিফিক ডেনিমের উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক: বস্ত্র খাতের প্রতিষ্ঠান প্যাসিফিক ডেনিমস লিমিটেডের উৎপাদন কার্যক্রম গত ২৮ এপ্রিল থেকে বন্ধ রয়েছে। কোম্পানিটি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে জানিয়েছে, তাদের কারখানা এলাকায় কোনো নোটিশ ছাড়াই গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। যেহেতু প্যাসিফিক ডেনিমের কারখানা সম্পূর্ণ গ্যাসভিত্তিক ক্যাপটিভ পাওয়ারের ওপর নির্ভরশীল তাই তাদের কারখানা বন্ধ রাখতে হয়েছে।

উল্লেখ্য, বস্ত্র খাতের কোম্পানিটি ২০১৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ২০০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ১৮৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৬৫ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ১৮ কোটি ৩৫ লাখ ৫০ হাজার ১৪৩টি শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৩০ দশমিক ১২ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ৬০ দশমিক ৪৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৪) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ পয়সা (লোকসান), যা আগের বছর একই সময় ছিল ৪ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় কমেছে ৮ পয়সা। অন্যদিকে প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই, ২০২৩-মার্চ, ২০২৪) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ১২ পয়সা। অর্থাৎ প্রথম তিন প্রান্তিকের হিসাবে শেয়ারপ্রতি আয় ১০ পয়সা কমেছে। এছাড়া ২০২৪ সালের ৩১ মার্চে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৫৩ পয়সা, যা ২০২৩ সালের ৩০ জুনে ছিল ১৩ টাকা ৫৮ পয়সা।

২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ব্যতীত সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১২ পয়সা এবং ৩০ জুন ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৫৮ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছে ৪৫ পয়সা।

এর আগে ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৯ পয়সা, আর ২০২২ সালের ৩০ জুন তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৫২ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছিল ৩৮ পয়সা। তবে ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য এক শতাংশ নগদ ও এক শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছিল ২২ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) ছিল ১৩ টাকা ৫৪ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছিল ২০ পয়সা।

এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৩ শতাংশ বা ৩০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৯ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ৬ লাখ ৩৯২ শেয়ার ৩৪৮ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৫৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৯ টাকা ৭০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১০ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৯ টাকা ১০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৭ টাকা ৯০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।