রাহুল সরকার: নজরদারি বাড়ানো কিংবা হামলার জন্য তৈরি করা হয়েছে ড্রোন। আকাশ কিংবা পানিতে নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে ছুটে চলতে এর জুড়ি মেলা ভার। গুপ্তচরবৃত্তির পাশাপাশি গবেষণা ও পর্যবেক্ষণে ব্যবহার করা হচ্ছে প্রযুক্তি পণ্যটি। এরই ধারাবাহিকতায় বিজ্ঞানীরা গত বছর থেকে যাত্রীবাহী ড্রোন চালুর পরিকল্পনা করছেন।
ইতোমধ্যে যাত্রী পারাপারে ড্রোন নির্মাণের কাজ শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও চীনের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে রয়েছে উবার, ইহ্যাং ও এয়ারবাসের মতো প্রতিষ্ঠান। এর আগে ২০১৭ সালের আগস্টে যাত্রীবাহী ড্রোনের পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন সফল হয়েছে দুবাইয়ের এক প্রদর্শনীতে।
ধারণা করা হচ্ছে, প্যাসেঞ্জার ড্রোনে আসনের সংখ্যা থাকবে মাত্র দুটি, থাকবে না চালক। এতে রয়েছে ১৬টি ইঞ্জিন ও রটরস। এর ওঠানামার জন্য কোনো রানওয়ের প্রয়োজন পড়বে না। উলম্বভাবেই ওঠানামা করতে পারবে এটি। এর গতি থাকবে ঘণ্টায় ৫০ মাইল। ভার্টিক্যাল টেক অফ অ্যান্ড ল্যান্ডিং (ভিটিওএল) প্রযুক্তিতে চলবে ড্রোনটি। প্রয়োজন পড়বে ফোর জি ইন্টারনেট সংযোগ।
উদ্ভাবকরা দাবি করছেন, ট্রাফিক সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনবে প্যাসেঞ্জার ড্রোন। এর কার্বন নিঃসরণের হার থাকবে একেবারে তলানিতে।
Add Comment