‘কপ২৬’ সম্মেলন

প্রকৃতির ক্ষতি করে কৃষিপণ্য উৎপাদনে যাবে না ৪৫ দেশ

শেয়ার বিজ ডেস্ক: বায়ুমণ্ডলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে এবং প্রকৃতির ক্ষতি হয়Ñএমন কৃষিপণ্য উৎপাদনে যাবে না বিশ্বের ৪৫টি দেশ ও কোম্পানি। জমি চাষে তারা আরও টেকসই উপায় বের করবে। এ ছাড়া চাষ ও সেচ ব্যবস্থাপনায় নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারে বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে দেশগুলো। স্থানীয় সময় শনিবার স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোর ‘কপ২৬’ সম্মেলনের স্কটিশ ইভেন্ট সেন্টারের গ্রিন জোনে দেশগুলো এমন সিদ্ধান্তে ঐক্যমত হয়। খবর: রয়টার্স।

এদিকে বিশ্বের শীর্ষ ৯৫টি হাই প্রোফাইল কোম্পানি ‘নেচার পজিটিভ’ কৃষি ব্যবস্থাপনায় যাবে। এসব কোম্পানি প্রকৃতির অবক্ষয় বন্ধে কাজ করবে। তবে তারা ২০৩০ সাল পর্যন্ত সময় চেয়েছে। এসব দেশের তালিকায় রয়েছে ভারত, কলম্বিয়া, ভিয়েতনাম, জার্মানি, ঘানা এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশ।

কপ২৬ সম্মেলনে কৃষক ও বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে প্রকৃতি রক্ষা করতে এবং টেকসই কৃষি ও ভূমি ব্যবহারে সতর্ক করা হয়েছে। সতর্ক করার পর ওই দেশগুলো জানিয়েছে, আরও টেকসই এবং কম দূষণ করে এমন কৃষিপণ্য উৎপাদনে যাবে তারা। এ জন্য তাদের কৃষিনীতি পরিবর্তন করে টেকসই কৃষির দিকে পা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতিও দেয় দেশগুলো।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, ব্রাজিল ৭২ মিলিয়ন হেক্টর জমি ‘নেচার পজিটিভ’ কৃষিতে নিয়ে যাবে। ফলে কৃষিতে ২০৩০ সাল নাগাদ এক বিলিয়ন টন কম কার্বন নিঃসরণ করবে দেশটি। ২৫ মিলিয়ন হেক্টর জমিতে কার্বন নিঃসরণ নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করে কৃষিপণ্য উৎপাদন করবে জার্মানি। অন্যদিকে ৭২ মিলিয়ন হেক্টর জমিতে নেচার পজিটিভ কৃষিপণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে এক বিলিয়ন টন কার্বন নিঃসরণ কমাবে যুক্তরাজ্য। ২০৩০ সালের মধ্যে যুক্তরাজ্যের ৭৫ ভাগ কৃষিকাজ নেচার পজিটিভ হবে।

এছাড়া ২৮টি দেশ উন্নয়ন প্রচারের পাশাপাশি বন রক্ষার জন্য একসঙ্গে কাজ করবে। বাণিজ্যিক কৃষিতে ৬৫ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ করবে উন্নয়নশীল দেশগুলো। বর্তমানে বিশ্বের ৯১ শতাংশ বনভূমি কভার করে ১৩৪টি দেশ। ২০৩০ সালের মধ্যে বনের ক্ষয়ক্ষতি এবং জমির ক্ষয় বন্ধ করা এবং তা প্রতিহত করার ডাক দিয়েছে দেশগুলো।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০