নিজস্ব প্রতিবেদক: মিরপুরের ঢাকা মডেল ডিগ্রি কলেজের উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের মামলায় ঢাকা জেলা পরিষদের উপসহকারী প্রকৌশলীসহ দুজনকে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। আদালতের পেশকার ফোরকান মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ওই রায়ে দণ্ডপ্রাপ্তদের আত্মসাৎ করা টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
তথ্যমতে, ঢাকা জেলা পরিষদের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান ও মেসার্স লিয়া এন্টারপ্রাইজের এম জয়নাল আহমেদকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ভঙ্গের অভিযোগে প্রকৌশলী আসাদুজ্জামানকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। সে সঙ্গে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে, যা অনাদায়ে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড আদেশ দিয়েছেন আদালত। অপর অভিযুক্ত জয়নাল আহমেদকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা পরিশোধ না করলে তাকে আরও এক মাস বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে।
এদিকে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মোজাম্মেল মজুমদার নামের অপর এক আসামিকে আদালত বেকসুর খালাস দিয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে জয়নাল আহমেদ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আর প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মিরপুর ১৩ নম্বরে অবস্থিত ঢাকা মডেল ডিগ্রি কলেজের উন্নয়ন প্রকল্পে বরাদ্দ সরকারি আট লাখ ৭৬ হাজার ২৭০ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাতের অভিযোগে এম জয়নাল আহমেদ ও আসাদুজ্জামানকে আসামি করে ২০১৫ সালের ৭ মে উত্তরা (পূর্ব) থানায় মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক আবু বকর সিদ্দিক।
পরের বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তিনি।