প্রকৌশল খাতের পাশাপাশি ফের বাড়ছে ব্যাংকের লেনদেন

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের পুঁজিবাজারে বেড়েছে প্রকৌশল খাতের লেনদেন। একই সঙ্গে সপ্তাহের ব্যবধানে ফের ব্যাংক খাতের লেনদেনও বাড়তে দেখা গেছে। সপ্তাহের লেনদেন চিত্রে এমনটিই উঠে এসেছে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গেল সপ্তাহে মোট লেনদেনের মধ্যে প্রকৌশল খাতের দখলে ছিল ১৭ শতাংশ। আলোচিত সময়ে খাতটির দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে ১১৯ কোটি টাকা। অন্যদিকে মোট লেনদেনের মধ্যে ব্যাংক খাতের দখলে ছিল ৩৫ শতাংশ। এ খাতের দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২৪৫ কোটি টাকা।

এদিকে এর আগের সপ্তাহে মোট লেনদেনের মধ্যে প্রকৌশল খাতের দখলে ছিল মাত্র ১১ শতাংশ। আলোচিত সময়ে এ খাতের দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছিল ৬৪ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। অন্যদিকে আগের সপ্তাহে ব্যাংক খাতের দখলে ছিল ২৯ শতাংশ। ওই সময় এ খাতের দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছিল ১৭২ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রকৌশল খাতের লেনদেন বেড়েছে ছয় শতাংশ এবং ব্যাংক খাতের বেড়েছে সাত শতাংশ। আলোচিত সময়ে প্রকৌশল খাতের দৈনিক গড় লেনদেন প্রায় ৫৫ কোটি টাকা বেশি হয়েছে এবং ব্যাংক খাতে দৈনিক গড় লেনদেন বেশি হয়েছে প্রায় ৭৩ কোটি টাকা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমানে জুন ক্লোজিং কোম্পানির ডিক্লারেশন চলছে। ব্যাংকিং, নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিমা খাত ছাড়া বাকি কোম্পানিগুলোর হিসাববছর জুনে শেষ হয়েছে। কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা অনুযায়ী ডিক্লারেশন দিচ্ছে। যেসব খাতের কোম্পানি ভালো লভ্যাংশ দিচ্ছে সেগুলোর শেয়ারে আগ্রহ বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের। এতে লেনদেনে প্রভাব পড়ছে।

তারা আরও বলেন, এ বছর ভিন্ন চিত্র ছিল বাজারে। যে সময় ব্যাংকের শেয়ারদর বাড়ার কথা ছিল সে সময় না বেড়ে জুন ক্লোজিংয়ে বেড়েছে। এতে জুন ক্লোজিংয়ের কোম্পানিগুলোর দরে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এসব কোম্পানির দর অনেকটা নিচে নেমে যায়। পরবর্তী সময় ব্যাংকগুলোর শেয়ারদর কিছুটা কমলে জুন ক্লোজিং কোম্পানির শেয়ারদর বাড়তে থাকে। এতে এসব খাতের লেনদেনেও প্রভাব পড়ে। তবে গত সপ্তাহের কিছু ব্যাংকের শেয়ারদর বাড়ায় পুরো খাতের লেনদেন বেড়েছে বলে মনে করছেন তারা।

এ সম্পর্কে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, জুন ক্লোজিংয়ের কিছু ভালো ডিক্লারেশন আসায় বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেড়েছে। এতে লেনদেনে প্রভাব পড়েছে। অন্যদিকে কিছু ব্যাংকের দর গত সপ্তাহের বাড়ায় ব্যাংক খাতের লেনদেনেও প্রভাব পড়েছে।

এদিকে পিই রেশিও অনুযায়ী ব্যাংক খাতের পাশাপাশি জুন ক্লোজিং দু-একটি খাতের বিনিয়োগের নিরাপদ পরিবেশ বিরাজ করছে। ব্যাংকের পিই রেশিও গেল সপ্তাহে ১০ দশমিক চার পয়েন্টে এবং প্রকৌশল খাতের পিই রেশিও ২৪ দশমিক চার পয়েন্টে অবস্থান করছে। তাছাড়া জুন ক্লোজিং জ্বালানি এবং বিমা খাতের পিই রেশিও যথাক্রমে ১৩ ও ১২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আগের সপ্তাহে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও ছিল ৯ দশমিক শূন্য ৯ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতের পিই রেশিও ছিল ২১ দশমিক সাত পয়েন্টে। তাছাড়া জুন ক্লোজিং জ্বালানি ও বিমা খাতের পিই রেশিও ছিল যথাক্রমে ১৩ দশমিক ৮ এবং ১৩ দশমিক এক পয়েন্টে। বিশ্লেষকদের মতে, যত দিন পর্যন্ত পিই রেশিও ১৫ এর ঘরে অবস্থান করে তত দিন বিনিয়োগ নিরাপদ।

উল্লেখ্য, পুঁজিবাজারে ব্যাংক খাতের ৩০টি এবং প্রকৌশল খাতের ৩৫টি প্রতিষ্ঠান তালিকাভুক্ত রয়েছে। তালিকাভুক্ত ব্যাংক ও নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিমা খাতের কোম্পানিগুলোর ডিসেম্বরে হিসাববছর শেষ হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য কোম্পানির হিসাববছর শেষ হয়েছে গত জুন মাসে। সেগুলোর লভ্যাংশ দেওয়ার মৌসুম চলছে।

 

 

 

 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০