প্রকৌশল খাতে ভর করে উত্থানে পুঁজিবাজার

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রকৌশল খাতের দাপটে পুঁজিবাজারে সূচকের নামমাত্র উত্থানে গতকাল সোমবার সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শেষ হয়েছে। বিমা খাতের শেয়ারের দাম কমার দিনে দাপট দেখিয়েছে প্রকৌশল খাতের শেয়ার। তাতেই এদিন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক বেড়েছে ২ পয়েন্ট। প্রকৌশল খাতের পাশাপাশি ভূমিকা রেখেছে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের কোম্পানির শেয়ারও।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের ৪৫ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে। এদিন খাতটিতে নয়টি কোম্পানির শেয়ারদর বাড়ার বিপরীতে কমেছে পাঁচটির দাম। এরপর প্রকৌশল খাতের ১৩টি কোম্পানির শেয়ারদর বাড়ার বিপরীতে কমেছে একটি কোম্পানির শেয়ারের দাম, যা মোট কোম্পানির ৩৮ দশমিক ২৪ শতাংশ। তবে ২০টি কোম্পানির শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল। এরপরের অবস্থানে ছিল বিবিধ খাতের শেয়ারদর। ছয়টি কোম্পানির শেয়ারদর বাড়ার বিপরীতে কমেছে তিনটির। এরপর ২৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়ে তালিকার চতুর্থ স্থানে রয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। গতকাল টেলিকমিউনিকেশন, সিরামিক ও আর্থিক খাতে শেয়ারদর বৃদ্ধি বা কমার কোনো পরিবর্তন হয়নি।

এদিকে গতকাল বিক্রির চাপ থাকায় বিমা খাতের শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে। খাতটির ৯০ দশমিক ৪১ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে। শেয়ারদর কমায় দ্বিতীয় স্থানে প্রযুক্তি খাত। খাতটির ৫৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে। এরপর ৫০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর কমে তৃতীয় স্থানে ছিল সিমেন্ট খাত।

অন্যদিকে গতকাল লেনদেনের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বিমা খাতে। খাতটিতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ২৪ দশমিক ২৬ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ২১ দশমিক ২৯ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা ওষুধ ও রসায়ন খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১০ দশমিক ৮৯ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। আট দশমিক ৬৭ শতাংশ লেনদেন হওয়া বিবিধ খাত রয়েছে চতুর্থ স্থানে।

ডিএসইর তথ্য মতে, গতকাল ডিএসইতে ৩১৯টি প্রতিষ্ঠানের ৭ কোটি ৪২ লাখ ৬ হাজার ৮৮টি শেয়ার, মিউচুয়াল ফান্ড এবং বন্ডের হাত বদল হয়েছে। তাতে ডিএসইর লেনদেন হয়েছে ৪৭৬ কোটি ৭ লাখ ৬৭ হাজার টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৩৮৭ কোটি ৩৭ লাখ ৪৭ হাজার টাকা।

এদিন ডিএসইতে ৬৬টি কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ৭৮টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৭৫টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ২ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ২৬৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। প্রধান সূচকের পাশাপাশি অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস শরিয়াহ সূচক ১ দশমিক ৭৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৫৮ পয়েন্টে। ডিএস-৩০ সূচক ২ দশমিক ৪৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৩৬ পয়েন্টে।

ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে ছিল জেমিনি সি ফুডের শেয়ার। দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল রয়েল টিউলিপ সি পার্লের শেয়ার। তৃতীয় অবস্থানে ছিল ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার। এরপর রয়েছেÑ ফু-ওয়াং ফুড, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স, দেশবন্ধু, স্কয়ার ফার্মা, ফাইন ফুড, সোনালী আঁশ এবং খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ লিমিটেডের শেয়ার।

অন্যদিকে, দেশের অন্য পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক ৩ দশমিক ১৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৫৪০ পয়েন্টে। সিএসইতে ১৩৪টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৩০টির, কমেছে ৪৭টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৭টির শেয়ার।

দিন শেষে সিএসইতে ১৯ কোটি ৮৪ লাখ ৯ হাজার ৬৩৩ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৫ কোটি ৭৯ লাখ ৪২ হাজার ৩৯৩ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০