নিজস্ব প্রতিবেদক:বিমা খাতের প্রতিষ্ঠান প্রগতি ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের ঋণমান অবস্থান (ক্রেডিট রেটিং) নির্ণয় করেছে ন্যাশনাল ক্রেডিট রেটিংস লিমিটেড (এনসিআর)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, কোম্পানিটি দীর্ঘমেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এএএ’ আর স্বল্পমেয়াদে পেয়েছে ‘এসটি-১’। ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ রেটিং দিয়েছে এনসিআর।
এদিকে চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন, ২০২৩) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের কোম্পানি প্রগতি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। জানা গেছে, দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৪৬ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল এক টাকা ৮১ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস কমেছে ৩৫ পয়সা। আর প্রথম দুই প্রান্তিকে (জানুয়ারি-জুন, ২০২৩) ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৬৫ পয়সা, আগের বছরের একই সময় ছিল ৩ টাকা ২ পয়সা। অর্থাৎ প্রথম দুই প্রান্তিকের হিসেবে ইপিএস কমেছে ৩৭ পয়সা। ২০২৩ সালের ৩০ জুন তারিখে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৫৬ টাকা ৭৪ পয়সা। এছাড়া প্রথম দুই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছে ১ টাকা ৮৫ পয়সা, অথচ আগের বছরের একইসময়ে ছিল ৩ টাকা ৫৪ পয়সা।
৩১ ডিসেম্বর ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ সাড়ে ২৫ শতাংশ নগদ এবং পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫ টাকা ৬৫ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৫৯ টাকা ০১ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৬ টাকা ৮৪ পয়সা। এর আগে ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি ৩৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছিল ৫ টাকা ৭২ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে এনএভিপিএস ছিল ৫৭ টাকা ৩২ পয়সা। এর আগে ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ৭ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৫৩ টাকা ৫১ পয়সা।
বিমা খাতের কোম্পানিটি ১৯৯৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ২০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৬৮ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। কোম্পানিটির ৬ কোটি ৮৮ লাখ ৬৯ হাজার ৮৪৬ শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৪১ দশমিক ৯৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ৩৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ শেয়ার।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৩ দশমিক ৪৯ শতাংশ বা ২ টাকা ২০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৬৫ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। ওইদিন ৩৬ হাজার ৮৯১টি শেয়ার মোট ৯৯ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ২৪ লাখ টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৬৩ টাকা ২০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৬৬ টাকা ৪০ পয়সায় ওঠানামা করে। এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ৫৮ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ৮০ টাকা ৩০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।