Print Date & Time : 21 June 2025 Saturday 11:15 pm

প্রগতি ইন্স্যুরেন্সের শেড ভাড়া নেবে প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রগতি ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের কাছ থেকে ২৪ হাজার ৬৭২ বর্গফুট আয়তনের একটি শেড ভাড়া নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, গত রোববার প্রগতি লাইফের পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাজধানীর পান্থপথ সিআর দত্ত রোডে অবস্থিত প্রগতি ইন্স্যুরেন্সের ২৪ হাজার ৬৭২ বর্গফুট আয়তনের একটি শেড ভাড়া নেবে। এই ভাড়ার মেয়াদ হবে পহেলা এপ্রিল ২০২৪ থেকে ৩১ মার্চ ২০৩৪ সাল অর্থাৎ ১০ বছর, তবে প্রয়োজনে এই মেয়াদ নবায়নযোগ্য। প্রগতি ইন্স্যুরেন্সকে মাসিক ভাড়া বাবদ ভ্যাট ও ট্যাক্সসহ তিন লাখ ৫৮ হাজার টাকা প্রদান করবে প্রগতি লাইফ। এছাড়া অগ্রিম জামানত বাবদ এক কোটি ১২ লাখ টাকা দিতে হবে প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্সকে।

উল্লেখ্য, বিমা খাতের কোম্পানি প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স ২০০৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৩২ কোটি ৫৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির ৩ কোটি ২৫ লাখ ৪৫ হাজার ২৮৮টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৩৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৩৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ শেয়ার।

কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। এর আগে ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ১১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ, ৬ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ডসহ সর্বমোট ১৭ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স।

অন্যদিকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ সাড়ে ২৫ শতাংশ নগদ এবং পাঁচ শতাংশ  বোনাস লভ্যাংশ দেয়ার কথা ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫ টাকা ৬৫ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৫৯ টাকা ০১ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৬ টাকা ৮৪ পয়সা। এর আগে ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি ৩৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছিল ৫ টাকা ৭২ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ এনএভিপিএস ছিল ৫৭ টাকা ৩২ পয়সা। এর আগে ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ৭ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৫৩ টাকা ৫১ পয়সা।

বিমা খাতের কোম্পানি প্রগতি ইন্স্যুরেন্স ১৯৯৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ২০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৬৮ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। কোম্পানিটির ৬ কোটি ৮৮ লাখ ৬৯ হাজার ৮৪৬ শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৪১ দশমিক ৯৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ৩৮ দশমিক ৩৫ শতাংশ শেয়ার।

চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন, ২০২৩) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের কোম্পানি প্রগতি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। জানা গেছে, দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৪৬ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল এক টাকা ৮১ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস কমেছে ৩৫ পয়সা। আর প্রথম দুই প্রান্তিকে (জানুয়ারি-জুন, ২০২৩) ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৬৫ পয়সা, আগের বছরের একই সময় ছিল ৩ টাকা ২ পয়সা। অর্থাৎ প্রথম দুই প্রান্তিকের হিসেবে ইপিএস কমেছে ৩৭ পয়সা। ২০২৩ সালের ৩০ জুন কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৫৬ টাকা ৭৪ পয়সা। এছাড়া প্রথম দুই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১ টাকা ৮৫ পয়সা, অথচ আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৩ টাকা ৫৪ পয়সা।