নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রণোদনার ঋণে ভর করে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধিতে কিছুটা গতি ফিরছে। গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ খাতে বার্ষিক ঋণ প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৯ দশমিক ৪৮ শতাংশ। আগের মাস আগস্টে পর্যন্ত ছিল ৯ দশমিক ৩৬ শতাংশ। আর জুলাইতে ছিল ৯ দশমিক ২০ শতাংশ।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, মূলত প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় বিতরণ করা ঋণের কারণেই বেসরকারি খাতের ঋণে কিছুটা গতি ফিরছে। আর ব্যাংকগুলোও প্রণোদনা ঋণের বাইরে বেসরকারি খাতে খুব একটা ঋণ দিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। এ কারণে বেসরকারি ঋণে কাক্সিক্ষত গতি আসছে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে বেসরকারি খাতে ঋণের স্থিতি বেড়ে হয়েছে ১১ লাখ ৮৩ হাজার ৮২ কোটি টাকা। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যা ছিল ১০ লাখ ১৬ হাজার ৬৯৬ কোটি টাকা। এ হিসেবে গত এক বছরে বেসরকারি খাতে ঋণ বেড়েছে ৯৬ হাজার ৩৮৫ কোটি টাকা বা ৯ দশমিক ৪৮ শতাংশ।
দীর্ঘদিন ধরেই বেসরকারি খাতের ঋণে বেশ মন্থরগতি চলছে। মহামারি করোনার থাবায় অর্থবছর শেষে তা আরও নি¤œগামী হয়ে পড়ে। এতে ২০১৯-২০ অর্থবছরে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, পুরো অর্থবছরে ১৪ দশমিক আট শতাংশ বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে এ খাতে ঋণ বেড়েছিল মাত্র আট দশমিক ৬১ শতাংশ। এটি গত আট বছরের মধ্যে সর্বনি¤œ প্রবৃদ্ধি।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত অর্থবছরের প্রায় প্রতি মাসেই বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি কমেছে। অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইতে বার্ষিক প্রবৃদ্ধি হয় ১১ দশমিক ২৬ শতাংশ। এর পরের মাস আগস্টে তা ১০ দশমিক ৬৮ শতাংশ, সেপ্টেম্বরে ১০ দশমিক ৬৬ শতাংশ, অক্টোবরে ১০ দশমিক শূন্য চার শতাংশ, নভেম্বরে ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ, ডিসেম্বরে ৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ, জানুয়ারিতে ৯ দশমিক ২০ শতাংশ, ফেব্রুয়ারিতে ৯ দশমিক ১৩ শতাংশ, মার্চে আট দশমিক ৮৬ শতাংশ ও এপ্রিলে আট দশমিক ৮২ শতাংশে নেমে আছে। তবে মেতে সামান্য বেড়ে হয় আট দশমিক ৮৬ শতাংশ। আর জুনে সেটি ব্যাপকহারে কমে দাঁড়ায় আট দশমিক ৬১ শতাংশে। তবে প্রণোদনা প্যকেজের ঋণ বিতরণে চলতি অর্থবছরে বেসরকারি খাতের ঋণের কিছুটা গতি আশার চিত্র লক্ষ্য করা যাচ্ছে।