Print Date & Time : 23 June 2025 Monday 12:29 pm

প্রণোদনার ঋণ চাহিদামতো বিতরণের প্রতিশ্রুতি এমডিদের

নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে প্রণোদনা হিসেবে ঋণ প্যাকেজ ঘোষণা করেছে সরকার। কিন্তু ব্যাংকগুলোকে একাধিক ছাড় দেওয়ার পরও কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (সিএমএসএমই) উদ্যোক্তাদের মধ্যে ২০ হাজার কোটি টাকা ঋণ বিতরণ সেভাবে হচ্ছে না। যথাসময়ে এ ঋণ বিতরণ করা হবে বলে গভর্নরকে আশ্বস্ত করলেন ব্যাংকাররা।

গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের সঙ্গে অনলাইনে বৈঠক করেন ২৫টি তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা। এ সময় ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীরা এ প্রতিশ্রতি দেন।

জানা গেছে, বৈঠকে গভর্নরের পক্ষ থেকে বলা হয় আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে এ ঋণ বিতরণ শেষ করতে হবে। নইলে বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেবে ব্যর্থ হওয়া ব্যাংকগুলের বিরুদ্ধে। এ সময় ব্যাংকারদের পক্ষ থেকে বলা হয়, চাহিদা ও যোগ্যতা অনুযায়ী ঋণ বিতরণে ব্যাংকের পক্ষ থেকে কোনো ব্যত্যয় করা হবে না।

জানা গেছে, প্রণোদনা প্যাকেজের ঋণ বিতরণে গত ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এ সময়ে মাত্র আড়াই হাজার কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করে ব্যাংকগুলো।

বাস্তবায়নের ধীর গতি দেখে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে সময়সীমা বাড়িয়ে ৩১ অক্টোবর করা হয়। অর্থাৎ ৩১ অক্টোবরের মধ্যেই এ ঋণ বিতরণ করতে হবে।

জানা গেছে, ঋণ বিতরণ বাড়াতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে বিশেষ পর্যালোচনা করা হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পর্যালোচনায় উঠে আসে, বিদ্যমান নীতিমালা ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। নীতিমালা অনুযায়ী ব্যাংকগুলো ইচ্ছে করলেও কোনো গ্রাহককে কাক্সিক্ষত হারে ঋণ বিতরণ করতে পারবে না।

বিদ্যমান নীতিমালায় বলা হয়, কোনো গ্রাহকের চলতি মূলধনের ঋণের স্থিতির ৩০ শতাংশ অথবা গ্রাহকের বিগত তিন বছরের আর্থিক বিবরণী বিবেচনায় গড় পরিচালন ব্যয়ের ৫০ শতাংশ এই দুইয়ের মধ্যে যেটি কম সেই পরিমাণ অর্থই হবে গ্রাহকের ঋণসীমা। বিদ্যমান এ নীতিমালায় একজন গ্রাহককে এর চেয়ে বেশি ঋণ দেওয়ার সুযোগ ছিল না। এর ফলে সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তা ব্যাংকের দৃষ্টিতে একজন ভালো গ্রাহক হলেও ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও এই গ্রাহককে বাড়তি ঋণ দিতে পারবে না।

এসব বিবেচনায় নীতিমালায় পরিবর্তন আনা হয়। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, উদ্যোক্তাদের চলতি মূলধনের সীমার ৩০ শতাংশের পরিবর্তে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ বিতরণ করতে পারবে ব্যাংক। যাতে উদ্যোক্তাদের ঋণ নেওয়ার পরিমাণ সক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ব্যাংকগুলোও চাহিদা অনুযায়ী দিতে পারে।