নিজস্ব প্রতিবেদক: মেধাবী তরুণ প্রজন্মের উদ্ভাবনী শক্তিকে সঠিকভাবে এগিয়ে নিতে দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষায়িত ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
গতকাল রাজধানীর বসুন্ধরায় ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (আইইউবি) মিলনায়তনে দুই দিনব্যাপী ‘দ্বিতীয় স্পেস ইনোভেশন সামিট ২০১৯’ উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ভবিষ্যৎ তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর পৃথিবীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে।
বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরাম এবং নাশা সায়েন্টিফিক প্রবলেম সলভার বাংলাদেশ যৌথভাবে এই সামিটের আয়োজন করে। দেশে মহাকাশবিষয়ক শিক্ষায় আগ্রহ তৈরি, মহাকাশ গবেষণা যন্ত্রপাতি নিয়ে রকেট টেকনোলজির দক্ষতা বৃদ্ধি ও গ্রাউন্ড স্টেশনের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে এই স্পেস ইনোভেশন সামিটের আয়োজন করা হয়েছে।
আইইউবি’র ট্রেজারার খন্দকার ইফতেখার হায়দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য ড. সাজ্জাদ হোসেন, বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরাম নাসা বিডি’র প্রতিষ্ঠাতা আরিফুল হাসান অপু প্রমুখ বক্তব্য দেন।
সম্মেলনে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় দেড় হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছে। দুই দিনের এই আয়োজনে ১৬টি টেকনিক্যাল সেমিনার এবং হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য দুটি ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হবে।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এআই, আইওটি, রোবটিক্স, ব্লকচেইন, বিগডাটার মতো নতুন প্রযুক্তি তথা চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের উপযোগী করে আমাদের তরুণদের তৈরি করতে হবে, না হলে আমরা পিছিয়ে পড়ব।’ এ ব্যাপারে সরকার সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
পলক বলেন, ইনোভেশন মানুষের জীবনের গতিকে সহজ, গতিশীল ও তরুণদের মেধার বিকাশ ঘটাতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, তরুণ উদ্যোক্তাদের উদ্ভাবনী কাজে সহযোগিতা করতে আইসিটি বিভাগ এন্ট্রাপ্রেনিয়ার্স ডিজাইন একাডেমি প্রতিষ্ঠা করছে। এছাড়া আর্থিক সহযোগিতাসহ বিভিন্ন সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
জ্ঞানভিত্তিক, মেধানির্ভর তথা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে এগিয়ে আসতে তরুণ প্রজš§সহ সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, স্পেস টেকনোলোজি নিয়ে আমাদের দেশের তরুণদের আগ্রহ দেখে আমি মুগ্ধ। আমরা এবং ব্যক্তিগতভাবে আমি নিজেও আশা করি, এ ধরনের আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশের তরুণদের মধ্যে স্পেসবিষয়ক কাজ করার আগ্রহ তৈরি হবে, যার ফলে আগামীতে বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি মহাকাশ-সম্পর্কিত কার্যক্রম হবে।
