নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর এসএসসি, এইচএসসি ও পঞ্চম শ্রেণির ক্লাস প্রতিদিন চলবে।
গতকাল সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান। ডা. দীপু মনি বলেন, ২০২১-২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীরা প্রত্যেক দিন বিদ্যালয়ে যাবে। এছাড়া অন্যান্য ক্লাস এক দিন চলবে। একইভাবে প্রাথমিকের পঞ্চম শ্রেণি প্রতিদিন এবং অন্যান্য ক্লাস সপ্তাহে এক দিন চলবে। তিনি বলেন, পর্যায়ক্রমে ক্লাসের সংখ্যা বাড়বে। স্কুলে প্রবেশের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সারিবদ্ধভাবে প্রবেশ করাতে হবে। ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি বা খেলাধুলা চলবে, তবে স্কুলে আপাতত কোনো অ্যাসেম্বলি হবে না।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন ও যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। এছাড়া মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলমসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
গত বছর ৮ মার্চ দেশে কভিড রোগী শনাক্ত হওয়ার পর ওই বছর ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। দফায় দফায় বাড়িয়ে সম্প্রতি সিদ্ধান্ত নেয়া হয় আগামী ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
অপরদিকে, আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর পিইসি-জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা এবং অন্য শ্রেণিগুলোর বার্ষিক পরীক্ষা নেয়ার প্রস্তুতি থাকবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
তিনি বলেন, পিইসি (প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী), জেএসসি, জেডিসি পরীক্ষা নেয়ার সার্বিক প্রস্তুতি আমাদের নেয়া থাকবে। অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে যদি দেখি পরীক্ষাগুলো নেয়া সম্ভব, তাহলে আমরা নেব ইনশাআল্লাহ।
বার্ষিক পরীক্ষা নেয়া প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আগে খুলি। সেই পরিস্থিতি যদি থাকে, এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষা যদি আমরা নিতে পারি তাহলে বার্ষিক পরীক্ষা নেয়া বিষয় না। আশা করি, সংক্রমণের হার বাড়বে না।