প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়াতে গবেষণায় ব্যয় করতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম: বিজিএমইএ ডাইভারসিফাই প্রডাক্ট তৈরির চিন্তা করছে। মাঝে মধ্যে ভাবি, আমরা এত পোশাক রপ্তানি করি আমাদের একটি নিজস্ব ব্র্যান্ড হলো না কেন! গবেষণায় অর্থ ব্যয় করতে হবে। ব্র্যান্ডিংয়ের চেষ্টা করতে হবে। আর পণ্য আমদানিতে এইচএস কোডের ভুলের বিষয়ে শিগগির আদেশ জারি করা হবে বলে জানিয়েছেন অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। গতকাল বুধবার দুপুরে নগরের আগ্রাবাদের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে চট্টগ্রাম চেম্বার আয়োজিত প্রাক-বাজেট মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বিষয়টি জানান।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, করদাতার সংখ্যা বৃদ্ধির গতি ও কার্যক্রম সন্তোষজনক। আমাদের যে জনবল তাতে গ্রাম পর্যায়ে কর নেট বাড়ানো কঠিন। সীমিত জনবল দিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছি। বাড়ি, ফ্ল্যাট, গাড়ি, হোল্ডিং নম্বর প্রভৃতি কাজে লাগিয়ে কর আদায়ের চেষ্টা করছি। কর দিতে সক্ষম মানুষের সংখ্যা যে হারে বাড়ছে সেই হারে করদাতা বাড়ছে। এখন ৩১ লাখে উন্নীত হয়েছে করদাতার সংখ্যা। রিটার্ন সহজ করছি। ৪ লাখ ২০ হাজারে উন্নীত হয়েছে ভ্যাটদাতার সংখ্যা। বিজনেস সহজ করতে সেলফ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট নিতে পারেন। লবণ চাষে হাই টেকনোলজি দরকার। লবণ মাঠে পলিথিন ব্যবহারে মান ও উৎপাদন বাড়ছে। 

তিনি বলেন, ভ্যাট এত জটিল যে, ব্যবসায়ীকে আলাদা লোক নিয়োগ দিয়ে রাখতে হয়। আমাদের আরও লম্বা পথ পাড়ি দিতে হবে। অনলাইনে ভ্যাট প্রদান আরও সহজ করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের দৃষ্টিনন্দন ভবন হবে তা নয়, কর ভবন হবে। ট্রেনিং একাডেমি হবে। জনবল বৃদ্ধির প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। তিন বছরে শিল্পায়নবান্ধব বাজেট করেছি। রাজস্ব আসবে শিল্পায়নের মাধ্যমে। কর দেয়ার সোর্স যেন রুগণ না হয়। 

বিশেষ অতিথি ছিলেন এনবিআর সদস্য মো. মাসুদ সাদিক, ড. শামস উদ্দিন আহমেদ ও জাকিয়া সুলতানা। সভাপতিত্ব করেন চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম। তিনি বলেন, সরকারের রাজস্ব যেমন বাড়াতে হবে তেমনি যারা রাজস্ব জোগান দেয় তাদের সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে হবে। ব্যক্তি শ্রেণির করমুক্ত আয় সীমা ৩ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ লাখ টাকা নির্ধারণ করতে

হবে। পাশাপাশি পরবর্তী ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত করহার ৫ শতাংশ, এর পরের ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ১০ শতাংশ, তার পরের ধাপের ৫ লাখ টাকার ওপর ১৫ শতাংশ, এর পরের ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত ২০ শতাংশ এবং তদূর্ধ্ব ২৫ শতাংশ হারে নির্ধারণের প্রস্তাব দিচ্ছি। চেম্বার সভাপতি ইন্টিগ্রেটেড ট্যাক্স অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সিস্টেম প্রবর্তন, অগ্রিম কর বা অগ্রিম ভ্যাট সমন্বয় করে দ্রুত রিফান্ড করা, এইচএস কোড সমস্যা নিরসনের মাধ্যমে বিভিন্ন রকম শুল্ক জরিমানা এবং সময়ক্ষেপণের জটিলতা দূর করার তাগিদ দেন। সভায় বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন ও শিল্পগ্রুপের পক্ষে বাজেট প্রস্তাব তুলে ধরা হয়।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০