শেয়ার বিজ ডেস্ক: জাপানের প্রধানমন্ত্রী কিশিদা ফুমিও প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় মেটানোর জন্য কর বৃদ্ধির প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছেন। গত ডিসেম্বরে তার সরকার কর বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তা বহাল থাকছে বলে জানিয়েছেন তিনি। অর্থাৎ নিজের পরিকল্পনার পুনরাবৃত্তি করেছেন তিনি। খবর: এনএইচকে।
জাপানের গণমাধ্যম এনএইচকে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০২২ সালে মন্ত্রিসভার অনুমোদিত জাতীয় নিরাপত্তা কৌশলসহ তিনটি প্রধান প্রতিরক্ষা দলিলের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী কিশিদা ফুমিও গতকাল বুধবার সংসদ ডায়েটকে জানিয়েছেন। উচ্চ কক্ষের পূর্ণাঙ্গ এক অধিবেশনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
গতকাল ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির হোরি আইওয়াও প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের বিষয়ে কিশিদার অবস্থান জানতে চান। বিশেষ করে আমদানি সরঞ্জামের বিষয়ের প্রশ্ন তোলের আইওয়াও। এ প্রসঙ্গে তিনি আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থি বিষয় এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন নিয়ে কথা বলেন। এর উত্তরে কিশিদা বলেন, এ ধরনের সরঞ্জাম আমদানি করার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট রয়েছে। তবে ইন্দো-প্রশান্ত অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য এর প্রয়োজন রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। তিনি আরও যোগ করেন, আগ্রাসনের শিকার দেশগুলোর জন্য এসব উপকরণ জরুরি।
বৃহৎ বিরোধী দল কনস্টিটিউশনার ডেমোক্রেটিক পার্টির মিয়াগুচি হারুকো গত ডিসেম্বরে সরকারের নেয়া পরিকল্পনার বাইরে নতুন কর বৃদ্ধি পরিকল্পনার সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করেন। তিনি বলেন, এখন থেকে পাঁচ বছর পর পরিকল্পিত প্রতিরক্ষা ব্যয়ের জোগান দিতে অধিক কর বৃদ্ধি-সংক্রান্ত আলোচনা আবার তোলা হতে পারে।
কিশিদা বলেন, ভবিষ্যতের প্রতিরক্ষা সামর্থ্য জোরদার করে তুলতে এবং তা বজায় রাখতে নির্ভরশীল তহবিল প্রয়োজন। তবে আরও কর বৃদ্ধির সম্ভাবনা তিনি নাকচ করে দিয়েছেন।
সরকার ও ক্ষমতাসীন দুটি দল বাণিজ্যিক ও অন্যান্য কর বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয়ের এক-চতুর্থাংশ জোগানের লক্ষ্যে গত ডিসেম্বরে একটি পরিকল্পনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তারা জানিয়েছে, আর্থিক সংস্কার ও অন্যান্য উপায়ে অবশিষ্ট তিন-চতুর্থাংশের ব্যবস্থা করা হবে। মৌলিকভাবে জাতীয় নিরাপত্তা সামর্থ্য জোরদার করে তোলার চেষ্টা করছে সরকার।