শেয়ার বিজ ডেস্ক:বাজেটে প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ ১৬ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার। গত শুক্রবার বাজেট ঘোষণা করে দেশটির সরকার। খবর: দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
পাকিস্তানের গণমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানায়, দেশের ভেতরে-বাইরে নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ থাকায় প্রতিরক্ষা খাতে বাজেট বাড়ানো হয়েছে।
পাকিস্তানে চলতি বছরের শেষের দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এর আগে শেষবারের মতো পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করলেন দেশটির অর্থমন্ত্রী ইসহাক দার। তবে নির্বাচনমুখী বাজেটে বড় কোনো চমকের পথে হাঁটেনি শাহবাজ শরিফের সরকার। বরং বাজেটের অর্ধেকের বেশি টাকা ঋণ মেটানোর জন্য তুলে রাখা হচ্ছে।
দুর্দশা বেড়েই চলেছে পাকিস্তানের। আকাশচুম্বী হয়েছে দ্রব্যমূল্য। গত এক বছরে দেশটির মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ৩৭ দশমিক ৯৭ শতাংশ। জাতিসংঘের আশঙ্কা, তিন মাসের মধ্যে দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
এর মধ্যেই এক লাফে খরচ ১৬ শতাংশ বাড়িয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে ১ দশমিক ৮ ট্রিলিয়ন বা এক হাজার ৮০৪ বিলিয়ন রুপি বরাদ্দ করা হলো প্রতিরক্ষা খাতে। চলতি অর্থবছরের প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ ছিল এক হাজার ৫৯১ বিলিয়ন রুপি।
এদিকে সরকারি কর্মীদের বেতন ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর অনুমোদন দিয়েছে পাকিস্তানের মন্ত্রিসভা।
পাকিস্তানের আর্থিক প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৫ শতাংশ হবে বলে দাবি অর্থমন্ত্রীর। তিনি জানিয়েছেন, এই বাজেটকে নির্বাচনী বাজেট হিসেবে দেখা উচিত নয়। বরং একে দেখতে হবে দায়িত্বশীল বাজেট হিসেবে।
প্রতিরক্ষা খাতে প্রস্তাবিত এক হাজার ৮০৪ বিলিয়ন রুপির মধ্যে কর্মীদের খরচ বাবদ ব্যয় করা হবে ৭০৫ বিলিয়ন রুপি। পরিচালনার জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৪৪২ বিলিয়ন রুপি। অস্ত্র ক্রয় (স্থানীয় পর্যায় ও আমদানি) বাবদ খরচ ধরা হয়েছে ৪৬১ বিলিয়ন রুপি। বাকি অর্থ বেসামরিক খাতে খরচের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
বাজেটে সেনা, নৌ ও বিমানÑতিন বাহিনীর সদস্যদের জন্য সমান বেতন বৃদ্ধি ধরা হয়েছে। তবে আকার ও ভূমিকার কারণে সেনাবাহিনীর জন্য বরাদ্দ তুলনামূলক বেশি রাখা হয়েছে। বর্তমানে পাকিস্তানের জিডিপির ১ দশমিক ৭ শতাংশ খরচ হচ্ছে প্রতিরক্ষা খাতে, এর আগের অর্থবছরে (২০২২-২৩) যা ছিল দুই শতাংশ।
পাকিস্তানের একজন সৈনিকের জন্য গড়ে ১৩ হাজার ৪০০ ডলার বরাদ্দ, যা ভারতে, সৌদি আরবে, ইরানে ও যুক্তরাষ্ট্রে যথাক্রমে ৪২ হাজার, তিন লাখ ৭১ হাজার, ২৩ হাজার ও তিন লাখ ৯২ হাজার ডলার।