প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা আইনি কাঠামো

যে কোনো প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তার অভাবে অনেক বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ফলে ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। তাই প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তার লক্ষ্যে বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী কিছু আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। এর যথাযথ প্রয়োগ করা হলে সব ধরনের বিপদ ও ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
# সব প্রতিষ্ঠানে অন্তত একটি করে বিকল্প
সিঁড়ির ব্যবস্থা রাখতে হবে। কেননা, অগ্নিকাণ্ডের সময় ওই বিকল্প সিঁড়ি কাজে লাগবে
# প্রতিষ্ঠানে কাজ চলাকালীন কোনো কক্ষের দরজা বন্ধ রাখা যাবে না। এতে ভেতরে থাকা কর্মীরা সহজে দরজা খুলতে পারবেন। দরজাগুলো এমনভাবে তৈরি করতে হবে, যেন বাইরের দিক থেকেও খোলা যায়
# প্রতিষ্ঠানে আগুন লাগলে দ্রুত বের হওয়ার জন্য সব দরজা-জানালা অথবা বাইরে যাওয়ার পথে লাল রঙ দিয়ে লিখতে হবে যেন শ্রমিকরা বুঝতে পারে যে, এ পথ দিয়ে বের হওয়া যাবে। এছাড়া হুশিয়ারি সংকেতের ব্যবস্থা থাকতে হবে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে যেন কর্মীদের সতর্ক করা যায়। কর্মরতদের অগ্নিকাণ্ডের সময় কীভাবে দ্রুত বের হওয়া যাবে, সে উপায় সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দিতে হবে
# প্রতিষ্ঠানের মেঝে, সিঁড়ি ও চলাচলের পথ মজবুতভাবে নির্মাণ করতে হবে। প্রয়োজনে নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য মজবুত রেলিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে
# ভারী জিনিস উত্তোলন বা বহন করলে শ্রমিকের ক্ষতির আশঙ্কা যদি থাকে, তাহলে এমন কাজ থেকে তাকে বিরত রাখতে হবে। ভবনে কর্মরত শ্রমিকদের যাতায়াতের পথে কোনো যন্ত্রপাতি বা প্লান্ট বিপজ্জনক অবস্থায় ফেলে রাখা যাবে না
# কর্মরত শ্রমিকদের নিরাপত্তার স্বার্থে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি যথোপযুক্ত জায়গায় রেখে তা ঘিরে রাখতে হবে। তাছাড়া যন্ত্রপাতির
সেট-স্ক্রু, স্পার, ওয়ার্ম ও দাঁতওয়ালা গিয়ারিং মজবুতভাবে ঘিরে রাখতে হবে, যাতে কাজ করার সময় শ্রমিকরা কোনো ক্ষতির মুখে না পড়েন
# সব সময় যে যন্ত্র দিয়ে কাজ করা হয়, অর্থাৎ চলমান যন্ত্রপাতি মাঝেমধ্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বা অভিজ্ঞ লোক দিয়ে এ ধরনের কাজ সম্পন্ন করতে হবে। একেকটি যন্ত্রপাতির কাজে একেকজন পারদর্শী হন। তাই তাদের কেউ অনুপস্থিত থাকলে সে কাজটি অন্য কাউকে দিয়ে না করানোই ভালো। ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নারী বা কিশোরদের যুক্ত করা যাবে না
# উৎপাদন প্রক্রিয়ার কারণে গ্যাস, ধোঁয়া, বিষাক্ত বাষ্প বিস্ফোরণের সম্ভাবনা থাকে। সেক্ষেত্রে বিস্ফোরণের বিস্তার রোধ করার জন্য অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে
# যদি কোনো প্রতিষ্ঠানে বিপজ্জনক ধোঁয়ার সৃষ্টি হয়, তাহলে সেখানে ২৪ ভোল্টের বেশি ভোল্টেজযুক্ত কোনো বৈদ্যুতিক বাতি ব্যবহার করা যাবে না। কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করা পর্যন্ত বা ওই স্থানে ধোঁয়া না কমা পর্যন্ত কোনো ব্যক্তিকে সেখানে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না
# প্রত্যেক শ্রমিকের চোখের নিরাপত্তার জন্য উপযুক্ত চশমা ব্যবহারের ব্যবস্থা করতে হবে। তা না হলে উৎপাদন কাজে অতিমাত্রায় আলো বা উত্তাপে চোখের ক্ষতি হতে পারে।
এমনকি উৎপাদন কাজে ব্যবহৃত কোনো বস্তুর কণা বা টুকরো ছিটকে গিয়ে চোখে পড়ে বিপদ হতে পারে
# উৎপাদন কাজে ব্যবহৃত ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ সম্পর্কে নোটিস দিতে হবে। অনুরূপ ব্যবহারের ক্ষেত্রেও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে
# ঝুঁকিপূর্ণ কাজে অবশ্যই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বা অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে নিয়োগ দিতে হবে। তার যোগ্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত না হয়ে নিয়োগ দেওয়া যাবে না।

 সূত্র: এসএমই ফাউন্ডেশন

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০