শেয়ার বিজ ডেস্ক: কানাডায় এখন থেকে শুধু প্যাকেট নয়, প্রতিটি সিগারেটের গায়ে লেখা থাকছে ‘প্রতি টানে বিষ গ্রহণ’ কিংবা ‘ধূমপান বন্ধ্যত্বের কারণ’। খবর: দ্য গার্ডিয়ান।
চলতি বছরের মে মাসে কানাডা সরকার সিগারেটের গায়ে স্বাস্থ্যসংক্রান্ত সতর্কতামূলক বার্তা জুড়ে দেয়ার নতুন এ নিয়ম চালুর ঘোষণা দেয়। গত মঙ্গলবার থেকে দেশটিতে এই নিয়ম কার্যকর হয়েছে। বিশ্বে প্রথম দেশ হিসেবে কানাডা এ নিয়ম চালু করল।
কানাডার সাবেক মানসিক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ক্যারোলিন বেনেত বলেন, প্রতি বছর দেশটিতে ধূমপান ও তামাকের কারণে ৪৮ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। ২০০১ সালে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে কানাডা সিগারেটের প্যাকেটের গায়ে স্বাস্থ্যসংক্রান্ত সতর্কবার্তা যুক্ত করার নিয়ম চালু করে। পরে বিভিন্ন দেশে এই নিয়ম চালু হয়। যদিও এত কিছুর পরও ধূমপানের ক্ষত কমানো সম্ভব হচ্ছে না।
বর্তমানে কানাডার ১৩ শতাংশ মানুষ তামাকজাতীয় পণ্য গ্রহণ করে, যা স্বাস্থ্যক্ষতি বার্ষিক ৬ বিলিয়ন বা ৬০০ কোটি ডলারের বেশি বলে জানিয়েছে সরকার। ১৯৬৫ সালে দেশটির প্রায় অর্ধেক মানুষ ধূমপায়ী ছিলেন।
প্রতিটি সিগারেটে আলাদা করে সরাসরি সতর্কবার্তা লেখার পদক্ষেপের প্রশংসা করেছে কানাডিয়ান ক্যানসার সোসাইটি, কানাডার হার্ট অ্যান্ড স্ট্রোক ফাউন্ডেশন এবং কানাডিয়ান ফুসফুস অ্যাসোসিয়েশন। তাদের আশা, এই ধরনের পদক্ষেপগুলো মানুষকে বিশেষ করে তরুণদের ধূমপান করা থেকে বিরত রাখবে। নতুন নিয়মের আওতায় সিগারেটের গায়ে ‘অঙ্গহানি করে’, ‘শিশুদের ক্ষতি করে’, ‘ক্যানসার হয়’, ‘ধূমপান পুরুষত্বহীনতার কারণ’, ‘লিউকোমিয়া হয়’, ‘প্রতি টানে বিষ গ্রহণ’, এমন নানা ধরনের বার্তা লেখা থাকছে। আশা করা হচ্ছে, এক বছরের মধ্যে কিং সাইজ বা বড় আকারের সব সিগারেটে এসব বার্তা যুক্ত করা সম্ভব হবে। আর নিয়মিত আকারের সব সিগারেটে এসব বার্তা যুক্ত শুরু হবে ২০২৫ সালের শুরুর দিকে।