প্রতীকী মঙ্গল শোভাযাত্রা

নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনা পরিস্থিতি এবং লকডাউন বিবেচনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা নববর্ষ-১৪২৮ সীমিত পরিসরে প্রতীকী কর্মসূচির মাধ্যমে উদযাপিত হয়েছে। বুধবার (১৪ এপ্রিল) চারুকলা অনুষদের শিল্পীদের তৈরি বিভিন্ন মুখােশ ও প্রতীক নিয়ে অনুষদ প্রাঙ্গণে সংক্ষিপ্তভাবে প্রতীকী মঙ্গল শােভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাে, আখতারুজ্জামান প্রতীকী এই শােভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন।

শােভাযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রাে-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হােসেন, ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মাে. রহমত উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূইয়াসহ চারুকলা অনুষদের কয়েকজন শিক্ষক-শিক্ষার্থী অংশ নেন।

ড. মাে. আখতারুজ্জামান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ সবাইকে বাংলা নববর্ষের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, আবহমান কাল থেকে বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নেওয়ার যে বর্ণিল উৎসব ও ঐতিহ্য, সেটি অসাম্প্রদায়িক, উদার ও মানবিক মূল্যবােধসম্পন্ন। নানা বিবেচনায় বাংলা-১৪২৮ গুরুত্ববহ একটি বছর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর সন্ধিক্ষণে বাংলা নববর্ষের আগমন। কোভিড-১৯ উদ্ভুত পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে অত্যন্ত সীমিত পরিসরে বাংলা নববর্ষকে স্বাগত জানাতে প্রতীকী মঙ্গল শােভাযাত্রার আয়ােজন করায় চারুকলা অনুষদকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান উপাচার্য।

সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্তর্ভুক্ত মঙ্গল শােভাযাত্র। কিন্তু চলমান করােনা মহামারি পরিস্থিতিতে এ বছরও পহেলা বৈশাখ উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপন করা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা আশা করি আগামীতে করোনা উত্তর বাংলাদেশে আগেরমতো বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন হবে। নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও সংক্ষিপ্তভাবে প্রতীকী এই মঙ্গল শােভাযাত্রা আয়ােজন করায় তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও চারুকলা অনুষদকে ধন্যবাদ জানান।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০