Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 4:41 pm

প্রত্যয় কর্মসূচি: অর্থমন্ত্রীকে আলোচনায় বসার চ্যালেঞ্জ শিক্ষকদের

নিজস্ব প্রতিবেদক : সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় কর্মসূচি নিয়ে অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য ও কর্তৃপক্ষের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিকে প্রত্যাখ্যান করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা। শিক্ষকরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসার জন্য মন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বাত্মক কর্মবিরতির অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের মূল ফটকে অবস্থান কর্মসূচিতে গতকাল বুধবার দুপুরে এ কথা জানানো হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিনাত হুদা বলেন, তারা পেনশন কর্তৃপক্ষের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি এবং অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করছেন। সারাদেশের ৩৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনের পক্ষ থেকে অর্থমন্ত্রীকে ওপেন চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেন, ‘আলোচনায় বসুন। অর্থমন্ত্রী কেন আলোচনা এড়িয়ে যাচ্ছেন?’ তিনি বলেন, ‘যারা এই স্কিম করেছেন, তারা নিজেরা এর আওতায় আসুন এবং দেখুন। আলোচনা ও আন্দোলন একসঙ্গে চলবে।’

প্রত্যয় কর্মসূচির প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবিতে গতকাল তৃতীয় দিনের মতো সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। শিক্ষকরা ‘প্রত্যয়’ কর্মসূচির প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, সুপার গ্রেডে (জ্যেষ্ঠ সচিবরা যে ধাপে বেতন পান) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনকাঠামো প্রবর্তনÑএই তিন দাবিতে আন্দোলন করছেন।

শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব নিজামুল হক ভ‚ঁইয়া বলেন, ‘দাবি মানা হলে বৃহস্পতিবার (আজ) থেকেই তারা কার্যক্রমে ফিরে যাবেন। কিন্তু দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ক্লাসে যাবেন না।’

শিক্ষকদের কর্মবিরতির দ্বিতীয় দিনে মঙ্গলবার অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘এই আন্দোলন অযৌক্তিক। তিনি এ নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি। একই দিন জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ কর্মসূচিটির বিভিন্ন বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা এ নিয়ে বক্তব্য দেন। তারা বলেন, ‘বিদ্যমান একটি ব্যবস্থা থাকার পরও কেন এ ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হলো। প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নকে ¤øান করার জন্য এ ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে।

শিক্ষকরা বলেন, যারা সাধারণ মানুষ, পেনশনের বাইরে, তাদের জন্য এ ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কেন এর আওতায় আনা হলো, সে প্রশ্ন তোলেন তারা।