নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন, ২০২৪) নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের কোম্পানি জনতা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির অনিরীক্ষিত আর্থিক পর্যালোচনায় দেখা গেছে, প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন, ২০২৪) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন, ২০২৪) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭৯ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৭৫ পয়সা। অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস বেড়েছে চার পয়সা। অন্যদিকে প্রথম দুই প্রান্তিকে বা প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন, ২০২৪) ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ১৭ পয়সা, আগের বছরের একই সময় ছিল ১ টাকা ১৪ পয়সা। অর্থাৎ প্রথম দুই প্রান্তিকের হিসেবে
ইপিএস বেড়েছে ৩ পয়সা। ২০২৪ সালের ৩০ জুন কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৫ টাকা ৮৬ পয়সা। ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বরে ছিল ১৪ টাকা ৬৯ পয়সা। এছাড়া প্রথম দুই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৪৪ পয়সা, অথচ আগের বছরের একই
সময়ে ছিল ৭৪ পয়সা।
এদিকে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ২৪ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৬৯ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৬৯ পয়সা। এর আগে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ২০ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৫৫ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৮৫ পয়সা। এর আগে ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৬ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিল। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ১ টাকা ২১ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) ছিল ১৪ টাকা ৪১ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছিল ১ টাকা ৯২ পয়সা।
বিমা খাতের এ কোম্পানিটি ১৯৯৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন হচ্ছে। যার ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৪৬ কোটি ৬১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। আর কোম্পানির রিজার্ভে রয়েছে ১৫ কোটি ৬২ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ৪ কোটি ৬৬ লাখ ১৭ হাজার ৯১২টি শেয়ারের মধ্যে ৩৭ দশমিক ৮১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে আর ৮ দশমিক ৪৩ শতাংশ শেয়ার ধারণ করছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা এবং ৫৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ ধারণ করছে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।
এদিকে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর ২ দশমিক ৪৩ শতাংশ বা ৮০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৩৩ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। ওইদিন কোম্পানিটির ৪ লাখ ৮১ হাজার ৫২০টি শেয়ার মোট ৬০৯ বার হাতবদল হয়। যার বাজারদর ১ কোটি ৬২ লাখ ৬০ হাজার টাকা। ওইদিন শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৩৩ টাকা ২০ পয়সা ও সর্বোচ্চ ৩৪ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে কোম্পানির শেয়ারদর ২৪ টাকা ৮০ পয়সা থেকে ৪৯ টাকা ৭০ পয়সায় ওঠানামা করে। সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় অনুপাতে ২৮ দশমিক ০৮। এবং অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ১৪ দশমিক ৪০।