Print Date & Time : 19 June 2025 Thursday 1:30 pm

প্রথমার্ধে আয় বেড়েছে সিটি ব্যাংকের

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন, ২০২৪) নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি সিটি ব্যাংক পিএলসি। প্রতিষ্ঠানটির অনিরীক্ষিত আর্থিক পর্যালোচনায় দেখা গেছে, প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন, ২০২৪) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন, ২০২৪) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ১৭ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ১০ পয়সা। অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস বেড়েছে ৭ পয়সা। অন্যদিকে প্রথম দুই প্রান্তিকে বা প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন, ২০২৪) ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৮৫ পয়সা, আগের বছরের একই সময় ছিল ১ টাকা ৭৬ পয়সা। অর্থাৎ প্রথম দুই প্রান্তিকের হিসেবে ইপিএস বেড়েছে ৯ পয়সা। ২০২৪ সালের ৩০ জুন কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৮ টাকা ১২ পয়সা। ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বরে ছিল ২৮ টাকা ৫৬ পয়সা। এছাড়া প্রথম দুই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ২ টাকা ৮৮ পয়সা, অথচ আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১ টাকা ১০ পয়সা।

এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে শেয়ারদর চার দশমিক ১২ শতাংশ বা এক টাকা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ২৫ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ২ কোটি ১৪ লাখ ১৩ হাজার ৬৬১টি শেয়ার মোট ৪ হাজার ৫৮১ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৫৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। দিনজুড়ে শেয়ারদর সর্বনিম্ন ২৪ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২৬ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়। এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির সর্বনিম্ন শেয়ারদর ১৭ টাকা ৩০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২৬ টাকা ৭০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে। কোম্পানিটি ১৯৮৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ২ হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ৩৪৭ কোটি ৮ লাখ ১০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ২ হাজার ৪৬০ কোটি ২৫ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ১৩৪ কোটি ৭০ লাখ ৮০ হাজার ৭৬৪ শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৩০ দশমিক ৫৯ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৮ দশমিক ২৯ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪ দশমিক ২০ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩৬ দশমিক ৯২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ১৫ শতাংশ নগদ এবং ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫ টাকা ২১ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩১ টাকা ৪২ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ১৯ পয়সা। এর আগে ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ১০ শতাংশ নগদ এবং ২ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা করেছে।

আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৯৮ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৮ টাকা ২১ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১১ টাকা ৬৫ পয়সা। এর আগে ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ সাড়ে ১২ শতাংশ নগদ ও সাড়ে ১২ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫ টাকা ১৫ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩০ টাকা ৬৮ পয়সা। এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১৩ টাকা ২৮ পয়সা।