প্রথমার্ধে আয়-সম্পদ বেড়েছে ইস্টার্ন ব্যাংকের

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন, ২০২৪) নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসি। প্রতিষ্ঠানটির অনিরীক্ষিত আর্থিক পর্যালোচনায় দেখা গেছে, প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন, ২০২৪) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) এবং ২০২৪ সালের ৩০ জুনে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) আগের বছরের একই সমেয়র তুলনায় বেড়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন, ২০২৪) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৩০ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা। অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস বেড়েছে ৩০ পয়সা। অন্যদিকে প্রথম দুই প্রান্তিকে বা প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন, ২০২৪) ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৩৭ পয়সা, আগের বছরের একই সময় ছিল ১ টাকা ৭৮ পয়সা। অর্থাৎ প্রথম দুই প্রান্তিকের হিসেবে ইপিএস বেড়েছে ৫৯ পয়সা। ২০২৪ সালের ৩০ জুন কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩১ টাকা ১ পয়সা। ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বরে ছিল ২৯ টাকা ৮৪ পয়সা। এছাড়া প্রথম দুই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১৫ টাকা ৪৭ পয়সা, অথচ আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২ টাকা ৮ পয়সা।

এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে শেয়ারদর অপরিবর্তিত থেকে প্রতিটি সর্বশেষ ২৬ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ২৬ টাকা ৯০ পয়সা। দিনজুড়ে ৪ লাখ ১৯ হাজার ৭৪৪টি শেয়ার মোট ১৯৮ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১ কোটি ৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা। দিনজুড়ে শেয়ারদর সর্বনি¤œ ২৫ টাকা ৮০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২৬ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়। এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির সর্বনি¤œ শেয়ারদর ২৪ টাকা ৯০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৩২ টাকা ৮০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।

ব্যাংক খাতের কোম্পানিটি ১৯৯৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ৩৫৮ কোটি ১৩ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ২ হাজার ৬৯৪ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট ১৩৫ কোটি ৮১ লাখ ৩৯ হাজার ৫৪টি শেয়ার রয়েছে। কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৩০ দশমিক ৬৭ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪৭ দশমিক ০৫ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক ০৮ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে বাকি ২২ দশমিক ২০ শতাংশ শেয়ার।

৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ সাড়ে ১২ শতাংশ নগদ ও সাড়ে ১২ শতাংশ বোনাস অর্থাৎ মোট ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫ টাকা ৭ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৩ টাকা ৫৭ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৭ টাকা ৯১ পয়সা। এর আগে ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ সাড়ে ১২ শতাংশ নগদ এবং সাড়ে ১২ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ৭৭ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৩ টাকা ৩৩ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৩৯ পয়সা (ঘাটতি)।

এর আগে ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য সাড়ে ১২ শতাংশ নগদ ও সাড়ে ১২ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫ টাকা ৩ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৩ টাকা ১৭ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১৪ টাকা ১০ পয়সা। এর আগে ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ সর্বশেষ সাড়ে ১৭ শতাংশ নগদ ও সাড়ে ১৭ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে পাঁচ টাকা ১৫ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৬ টাকা ২৮ পয়সা।

বিষয় ➧

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০