নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি হিসাববছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে বা প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন, ২০২৪) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের কোম্পানি ডিবিএইচ ফাইন্যান্স পিএলসির। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে প্রকাশিত কোম্পানিটির অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন, ২০২৪) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ১৯ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ১৫ পয়সা। অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস বেড়েছে ৪ পয়সা। অন্যদিকে প্রথম দুই প্রান্তিকে বা প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন, ২০২৪) ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৫ পয়সা, আগের বছরের একই সময় ছিল ২ টাকা ৪৬ পয়সা। অর্থাৎ প্রথম দুই প্রান্তিকের হিসেবে ইপিএস কমেছে ৪১ পয়সা।
২০২৪ সালের ৩০ জুন কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৪৪ টাকা ১৯ পয়সা। ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বরে ছিল ৪৩ টাকা ৬৩ পয়সা। এছাড়া প্রথম দুই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৩ টাকা ৬৬ পয়সা (ঘাটতি), অথচ আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২৬ টাকা ৯৩ পয়সা। কোম্পানিটি ২০০৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৪০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৯৮ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৬৬৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।
কোম্পানিটির মোট ১৯ কোটি ৮৮ লাখ ৯০ হাজার ১৭১টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৫১ দশমিক ৩২ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে ৭ দশমিক ৯৯ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারিদের কাছে ১৫ দশমিক ২৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
এদিকে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর ১ দশমিক ৫৩ শতাংশ বা ৫০ পয়সা কমে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৩২ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৩২ টাকা ১০ পয়সা। দিনজুড়ে কোম্পানিটির ৮ লাখ ৮১ হাজার ৩৬৬ শেয়ার মোট ৬০৮ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ছিল ২ কোটি ৮৯ লাখ ১০ হাজার টাকা। দিনজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৩১ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ৩৩ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়। তবে গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ২৮ টাকা ৭০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৫৬ টাকা ৭০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
এদিকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ৯৫ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪৩ টাকা ৬৩ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৪২ টাকা ১৮ পয়সা। এর আগে ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ১৫ শতাংশ নগদ এবং দুই শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫ টাকা ২১ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪১ টাকা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১৯ টাকা ৬৪ পয়সা (ঘাটতি)।
এর আগে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১৫ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫ টাকা ৮৯ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৪০ টাকা ৮৭ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৪ পয়সা (ঘাটতি)।
