নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি হিসাব বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন, ২০২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড। কোম্পানিটির প্রকাশিক অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে চলতি হিসাববছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন, ২০২৪) আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় সিঙ্গার বাংলাদেশের বিক্রি বাড়লেও কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা কমেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে সিঙ্গার বাংলাদেশের বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ১৮৫ কোটি ৯৭ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ হাজার ৯০ কোটি ৬১ লাখ টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী ২৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা মুনাফা হয়েছে, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৫৮ কোটি ৩১ লাখ টাকা। প্রথমার্ধে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৩৭ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৫ টাকা ৮৫ পয়সা। অর্থাৎ প্রথমার্ধে কোম্পানিটির
ইপিএস কমেছে তিন টাকা ৪৮ পয়সা। চলতি ২০২৪ হিসাব বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৫৮ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই প্রান্তিকে যা ছিল ৪ টাকা ৭২ পয়সা। গত ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩২ টাকা ৯০ পয়সায়।
এদিকে ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি ৩৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে ৫ টাকা ২৪ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩৪ টাকা ৩ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছে (এনওসিএফপিএস) ২২ টাকা ৭৬ পয়সা। এর আগে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে ৭৩ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বরে ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৯ টাকা ৯৭ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছে (এনওসিএফপিএস) ১৮ টাকা ১৯ পয়সা।
এর আগে ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি ৬০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছিল ৫ টাকা ২০ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বরে শেয়ারপ্রতি এনএভি দাঁড়িয়েছিল ৩৪ টাকা ৬ পয়সা। এর আগে ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭ টাকা ৮৫ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩২ টাকা ১৯ পয়সা। এর আগে ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭ টাকা ৮৫ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩২ টাকা ১৯ পয়সা।
এ’ ক্যাটেগরির এ কোম্পানিটি ১৯৮৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ২৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৯৯ কোটি ৭০ লাখ
৩০ হজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ২৪১ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ৯ কোটি ৯৭ লাখ ২ হাজার ৮৩৮টি শেয়ার রয়েছে।