নিজস্ব প্রতিবেদক:পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের কোম্পানি সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন, ২০২৩) আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় জীবন বিমা তহবিলের আকার কমেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, চলতি হিসাব বছরের ৩০ জুন শেষে সানলাইফ ইন্স্যুরেন্সের জীবন বিমা তহবিলের আকার দাঁড়িয়েছে ৪৫ কোটি ৭১ লাখ ৩০ হাজার টাকা, আগের হিসাববছরের একই সময় শেষে যা ছিল ১১৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। সে হিসাবে বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির জীবন বিমা তহবিল কমেছে ৭০ কোটি তিন লাখ ৭০ হাজার টাকা।
এদিকে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ তাদের নিলয় সানলাইফ টাওয়ারের চারটি ফ্লোর বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত বুধবার অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সভা থেকে সর্বশেষ ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২২ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদনের পাশাপাশি এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। একই সভায় থেকে কোম্পানির চলতি ২০২৩ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিক (জানুয়ারি-মার্চ) ও দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনও অনুমোদন করা হয়েছে।
রাজধানীর মহাখালীর বীর উত্তম এ কে খন্দকার রোডে অবস্থিত কোম্পানির নিলয় সান লাইফ টাওয়ারের নবম, দশম, ১১তম ও ১২তম ফ্লোর বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ ফ্লোরের আয়তন ১২ হাজার ৩৩০ বর্গফুট। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন চাইবে কোম্পানিটি।
অন্যদিকে সানলাইফ ইন্স্যুরেন্সের পর্ষদ সর্বশেষ ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২২ হিসাববছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য কোনো লভ্যাংশের সুপারিশ করেনি। আলোচ্য হিসাববছরের অন্যান্য এজেন্ডায় শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন নিতে আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর বেলা ৩টায় ভার্চুয়াল মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আহ্বান করেছে কোম্পানিটি। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২৪ আগস্ট। এর আগে ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করেও কোনো লভ্যাংশ দেয়নি কোম্পানিটি।
এর আগে কোম্পানিটির ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য এক শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।
বিমা খাতের কোম্পানিটি ২০১৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৩৫ কোটি ৭৬ লাখ ১০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট ৩ কোটি ৫৭ লাখ ৬০ হাজার ৬৯০ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৩৮ দশমিক ২৯ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ৯ দশমিক ৩২ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ৫২ দশমিক ৩৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর অপরিবর্তিত থেকে প্রতিটি সর্বশেষ ৫২ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। ওইদিন কোম্পানিটির ৫০টি শেয়ার মোট একবার হাতবদল হয়। গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৫২ টাকা ২০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৭৭ টাকা ২০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।