Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 4:04 am

প্রথমার্ধে রেকিট বেনকিজারের ইপিএস ১৮% কমেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি হিসাববছরের প্রথমার্ধের (জানুয়ারি-জুন, ২০২২) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি রেকিট বেনকিজার (বাংলাদেশ) লিমিটেড। আর আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে ১৮ শতাংশ। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, চলতি হিসাববছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে বা প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন, ২০২২) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩১ টাকা ৩৬ পয়সা, আগের হিসাববছরের একই সময়ে যা ছিল ৩২ টাকা ৬৪ পয়সা। সে হিসেবে আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি ইপিএস কমেছে ১ টাকা ২৮ পয়সা। অন্যদিকে চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন, ২০২২) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৫০ টাকা ৬৮ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ৬২ টাকা ০৩ পয়সা। অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস কমেছে ১১ টাকা ৩৫ পয়সা বা ১৮ শতাংশ। এদিকে ৩০ জুন, ২০২২ কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৮৬ টাকা ৩২ পয়সা। আর প্রথম দুই প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১৪৫ টাকা ২৫ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ১৪৩ টাকা ৯৬ পয়সা।

২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এক হাজার ৬৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১৭১ টাকা ৩ পয়সা, আর ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বরে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ২০০ টাকা ৬৫ পয়সা। এর আগে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ১৪০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১৫৬ টাকা ৩৮ পয়সা, আর ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বরে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৭০ টাকা ৯৫ পয়সা। ওষুধ ও রসায়ন খাতের এই কোম্পানিটি ১৯৮৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানির ২৫ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন চার কোটি ৭২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৯০ কোটি ৭১ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট ৪৭ লাখ ২৫ হাজার শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৮২ দশমিক ৯৬ শতাংশ, সরকারি তিন দশমিক ৭৭ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক চার দশমিক ৪০ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে দুই দশমিক ৯০ শতাংশ এবং বাকি ৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে।