Print Date & Time : 19 June 2025 Thursday 4:22 pm

প্রথমার্ধে লোকসান কমেছে ফার্স্ট ফাইন্যান্সের

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি হিসাববছরের প্রথমার্ধের (জানুয়ারি-জুন, ২০২৩) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের কোম্পানি ফার্স্ট ফাইন্যান্স লিমিটেড। আর গত বছরের তুলনায় প্রথমার্ধে শেয়ারপ্রতি লোকসান কমেছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত পর্ষদ সভায় কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ সেটি অনুমোদন করার পাশাপাশি ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন, ২০২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭০ পয়সা (লোকসান), যা আগের বছর একই সময় ছিল ২ টাকা ১০ পয়সা (লোকসান)। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি লোকসান এক টাকা ৪০ পয়সা কমেছে। অন্যদিকে প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন, ২০২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৬১ পয়সা (লোকসান), যা আগের বছর একই সময় ছিল ৪ টাকা ১২ পয়সা (লোকসান)। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি লোকসান এক টাকা ৫১ পয়সা কমেছে। এছাড়া ২০২৩ সালের ৩০ জুনে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩১ টাকা ৪৫ পয়সা (লোকসান)। প্রথমার্ধে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে ৩২ পয়সা (ঘাটতি), যা আগের বছর একই সময় ৪২ পয়সা ছিল।

কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোঘণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৪ টাকা ৫২ পয়সা (লোকসান)। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৮ টাকা ৮৪ পয়সা (লোকসান)। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ  (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৩৯ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশের সিদ্ধান্তের জন্য বিনিয়োগকারীদের অনুমোদন নিতে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর বেলা ৩টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আহ্বান করা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ সেপ্টেম্বর।

এর আগে ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনো লভ্যাংশ দেয়নি ফার্স্ট ফাইন্যান্সের পরিচালনা পর্ষদ। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৮ টাকা ৪৭ পয়সা (লোকসান)। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৩২ পয়সা (লোকসান)। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ২৩ পয়সা। এর আগে ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ সমাপ্ত হিসাববছরেরও কোনো লভ্যাংশ দেয়নি কোম্পানিটি। ওই হিসাববছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছিল চার টাকা ৩১ পয়সা (লোকসান)। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ শেয়ারপ্রতি এনএভি ছিল চার টাকা ২৩ পয়সা। এছাড়া তখন এনওসিএফপিএস হয়েছিল এক টাকা ৮১ পয়সা। সর্বশেষ ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দুই শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি। তখন তাদের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল এক টাকা ১৬ পয়সা। আর ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছিল আট টাকা ৫৫ পয়সা। আলোচিত ওই অর্থবছরে কোম্পানিটির মোট মুনাফা হয়েছিল ১৬ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। অথচ আগের বছরের একই সময়ে কোম্পানিটির মোট লোকসান ছিল ৪০ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।

আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের এ কোম্পানিটি ২০০৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘জেড’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১১৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এছাড়া আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের এই কোম্পানিটির বর্তমানে রিজার্ভ ঘাটতি রয়েছে ২৮৮ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। কোম্পানিটির ১১ কোটি ৮৫ লাখ ৪৪ হাজার ৬৬৩টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৪১ দশমিক ৩১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১৯ দশমিক ১৯ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৩৯ দশমিক ৫০ শতাংশ শেয়ার।