নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি হিসাববছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২২) পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিরামিক খাতের কোম্পানি ফু-ওয়াং সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের শেয়ারপ্রতি আয় আগের বছরের তুলনায় কমেছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রকাশিত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা গেছে, চলতি হিসাববছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২২) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১২ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ১৭ পয়সা। অর্থাৎ প্রথমার্ধের হিসাবে শেয়ারপ্রতি আয় ৫ পয়সা কমেছে। অন্যদিকে দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২২) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৯ পয়সা। অর্থাৎ শুধু দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় কমেছে ২ পয়সা। এছাড়া ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বরে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৩৫ পয়সা, যা ২০২২ সালের ৩০ জুনে ছিল ১১ টাকা ৭৮ পয়সা। প্রথমার্ধে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ২৯ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে ছিল ২০ পয়সা।
এর আগে চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২২) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) আগের বছরের তুলনায় দুই পয়সা কমেছে। কোম্পানিটির প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২২) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ৬ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ৮ পয়সা। ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছিল ১১ টাকা ৮৪ পয়সা। এছাড়া আলোচিত প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছিল ৬৮ পয়সা (লোকসান), আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৫১ পয়সা।
সর্বশেষ কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ২ শতাংশ নগদ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৩ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২২ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৭৮ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে তিন টাকা ২৭ পয়সা (লোকসান)।
এর আগের বছরেও কোম্পানিটির দুই শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। সে সময়ে তাদের ইপিএস হয়েছিল ৩৪ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২১ এনএভি দাঁড়িয়েছিল ১১ টাকা ৭০ পয়সা।
‘বি’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি ১৯৯৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৩৬ কোটি ২৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১৬ কোটি ৭১ লাখ টাকা। কোম্পানিটির ১৩ কোটি ৬২ লাখ ৬৯ হাজার ৯৩ শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৩০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে ৬ দশমিক ২৮ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীর কাছে শূন্য দশমিক ৪০ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ৬৩ দশমিক ৩২ শতাংশ শেয়ার।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর অপরিবর্তিত থেকে প্রতিটি সর্বশেষ ১৭ টাকা ৪০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। ওইদিন ৫১০টি শেয়ার মোট ৩ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিন্ম ও সর্বোচ্চ ১৭ টাকা ৪০ পয়সায় লেনদেন হয়। আর গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর ১৪ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ২১ টাকা ৩০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
