নিজস্ব প্রতিবেদক;চলতি হিসাববছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২২) পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিবিধ খাতের কোম্পানি বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের শেয়ারপ্রতি আয় আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রকাশিত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা গেছে, চলতি হিসাববছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২২) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে আট টাকা ৪১ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৮ টাকা ২৮ পয়সা। অর্থাৎ প্রথমার্ধের হিসাবে শেয়ারপ্রতি আয় ১৩ পয়সা বেড়েছে। অন্যদিকে দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২২) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে চার টাকা ৪৩ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল তিন টাকা ৯৪ পয়সা। অর্থাৎ শুধু দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ৪৯ পয়সা। এছাড়া ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বরে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৭৯ টাকা ৯৭ পয়সা, যা ২০২২ সালের ৩০ জুন ছিল ৭২ টাকা ৫২ পয়সা। প্রথমার্ধে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১২ টাকা ৭২ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ১১ টাকা ৫৭ পয়সা।
এর আগে এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ বা ৭ টাকা ৪০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ১২৫ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। ওইদিন কোম্পানিটির ১৪ কোটি ৫৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। দিনজুড়ে ১১ লাখ ৩১ হাজার ৪০৬টি শেয়ার মোট ৩ হাজার ৫৩৯ বার হাতবদল হয়। ওইদিন শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১২৪ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৩৫ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে কোম্পানির শেয়ারদর ১০১ টাকা ৮০ পয়সা থেকে ১৭৩ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।
এদিকে ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৪ টাকা ৮০ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২২ তাদের শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৭২ টাকা ৫২ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে তাদের শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ২৩ টাকা ৮৭ পয়সা। এর আগে ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের বিনিয়োগকারীদের জন্য ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। সে সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ৪ টাকা ৭২ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২১ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৬০ টাকা ২৮ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১২ টাকা ৭৮ পয়সা।
কোম্পানিটি ১৯৭৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানির এক হাজাার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৫২ কোটি ৫৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট ১৫ কোটি ২৫ লাখ ৩৫ হাজার ৪০ শেয়াররের মধ্যে সরকারি ৫২ দশমিক ১০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৩ দশমিক ৯০ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।