প্রথম ডোজ বন্ধ হচ্ছে না, গণটিকা আরও দুদিন

নিজস্ব প্রতিবেদক: এক দিনে এক কোটি মানুষকে কভিড-১৯-এর প্রথম ডোজ টিকাদান কর্মসূচি আরও দুই দিন চলবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কভিড-১৯ টিকাবিষয়ক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এ কথা জানান।

দেশে এক কোটি মানুষকে করোনাভাইরাসের প্রথম ডোজের টিকা কার্যক্রম শুরু হয় গত শনিবার। টিকা পেতে কোনো ধরনের নিবন্ধন কিংবা কাগজপত্রের প্রয়োজন হচ্ছে না। জানা গেছে, দেশের ২৮ হাজার বুথে টিকা দেয়া হয়েছে গতকাল। এসব বুথে টিকা দেয়ার কাজে যুক্ত রয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীদের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবকসহ মোট এক লাখ ৪২ হাজার জন।

দেশের সব ইউনিয়নে নির্ধারিত টিকাকেন্দ্রের বাইরেও পাঁচটি করে ভ্রাম্যমাণ দল রয়েছে। এ ছাড়া সিটি করপোরেশনের প্রতিটি অঞ্চলে ৩০ থেকে ৫০টি করে বুথে টিকা দেয়া হচ্ছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, দেশে করোনার গণটিকাদান শুরু হয় ২০২১ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি। টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন ১০ কোটি ৯ লাখ ১১ হাজারের বেশি মানুষ, যা দেশের মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশের মতো।

তাদের মধ্যে সাত কোটি ১৪ লাখ ৭৫ হাজারের বেশি মানুষ দ্বিতীয় ডোজ ও ২৬ লাখ ৯৪ হাজারের বেশি মানুষ তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ পেয়েছেন।

এর মধ্যে গত বছর সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে ৭৬ লাখ ডোজের বেশি টিকা দেয়া হয়েছিল এক দিনে।

এদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশের মানুষ টিকাবান্ধব। তারা উৎসবমুখর পরিবেশে টিকা নিচ্ছেন। প্রত্যেক দেশের ৭০ ভাগ মানুষকে টিকার আওতায় আনার জন্য বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশ থাকলেও টার্গেটের চেয়ে অতিরিক্ত টিকা দেয়া হবে বাংলাদেশ। গতকাল মানিকগঞ্জের গড়পাড়া ইউনিয়ন পরিষদ টিকাকেন্দ্রে গণটিকা কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ভয়ের কোনো কারণ নেই। এক কোটি ডোজ টিকা দেয়ার পরও দেশে প্রথম, দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ টিকা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। আজকের কর্মসূচির পর দেশে প্রথম ডোজ টিকার আওতায় আসবে ১২ কোটি মানুষ।

তিনি বলেন, প্রয়োজনের অতিরিক্ত টিকা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে যে দেশ টিকা পায়নি সেই দেশকে দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এখনো যারা টিকা নেননি তাদের টিকা নেয়ার আহ্বান জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

গড়পাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আফসার উদ্দিন সরকারের সভাপতিত্বে মানিকগঞ্জের ডিসি মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ গোলাম আজাদ খাঁন, সিভিল সার্জন মোয়াজ্জেম আলী খান চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম আপেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০