নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০১৯) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আইটি খাতের কোম্পানি অগ্নি সিস্টেমস লিমিটেড। আর এই প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) পাঁচ পয়সা বেড়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২২ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ১৭ পয়সা। অর্থাৎ প্রথম প্রান্তিকে ইপিএস আগের বছরের তুলনায় পাঁচ পয়সা বেড়েছে। আর ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ২৭ পয়সা, যা আগের ২০২০ সালের ৩০ জুন তারিখে ছিল ১৪ টাকা পাঁচ পয়সা। এছাড়া এ প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ২৫ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে ছিল ছয় পয়সা।
৩০ জুন ২০২০ সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য দুই শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে কোম্পানিটি। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩১ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা পাঁচ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৭৬ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ৩১ ডিসেম্বর বেলা সাড়ে ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২১ ডিসেম্বর।
এর আগে ২০১৯ সালে কোম্পানিটি সাত শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। ওই সময় ইপিএস ছিল ৭৫ পয়সা আর এনএভি হয় ১৪ টাকা ৪৪ পয়সা।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর তিন দশমিক ১৩ শতাংশ বা ৬০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ১৯ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল ১৯ টাকা ৮০ পয়সা। দিনজুড়ে ছয় লাখ ৭৮ হাজার ৪৬৬টি শেয়ার ৪২৮ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর এক কোটি ৩৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর ১৯ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ২০ টাকায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ১২ টাকা ২০ পয়সা থেকে ২৪ টাকা ১০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
কোম্পানিটি ২০০৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানির ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৭২ কোটি ৫৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ আট কোটি ৯৭ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট সাত কোটি ২৫ লাখ ৫৬ হাজার ১৯৪ শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩৯ দশমিক ৯১ শতাংশ এবং বাকি ৫০ দশমিক ৭০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে।
সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাত ২৬ দশমিক ৪০ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ২২ দশমিক ৫০।