নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৩) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৫ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ১৩ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় তথা ইপিএস বেড়েছে ২ পয়সা। এদিকে ২০২৩ সালের ৩১ মার্চে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা ৩৪ পয়সা, যা ২০২২ সালের ৩১ মার্চে ছিল ১৮ টাকা ৮৯ পয়সা। আর এ প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে ৫ টাকা ৮৩ পয়সা (ঘাটতি), যা আগের বছর একই সময় ৪ টাকা ৯৩ পয়সা ছিল।
ব্যাংক খাতের কোম্পানিটি ২০০০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানির তিন হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ৩৪ কোটি ১৫ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৯০৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট ১০৩ কোটি ৪১ লাখ ৫৪ হাজার ২৮৬ শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৩২ দশমিক ০৬ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪৮ দশমিক ০৬ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে এক দশমিক ১৮ শতাংশ এবং বাকি ১৮ দশমিক ৭০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে।
২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য পাঁচ শতাংশ নগদ ও পাঁচ বোনাস লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ব্যাংক খাতের এ কোম্পানিটি। আলোচিত সময়ে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ২ টাকা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা ২০ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছে এক টাকা পাঁচ পয়সা (ঘাটতি)। এর আগে ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর হিসাববছরেও ব্যাংকটি পাঁচ শতাংশ নগদ ও পাঁচ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল। আলোচিত সময়ে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ১ টাকা ৭৮ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছিল ১৯ টাকা ৬৯ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছিল এক টাকা ৭২ পয়সা (ঘাটতি)।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর অপরিবর্তিত থেকে প্রতিটি সর্বশেষ ১২ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ১৮ হাজার ৬২৪টি শেয়ার ২৪ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর ১২ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়। তবে গত এক বছরের মধ্যে ব্যাংক খাতের কোম্পানিটির শেয়ারদর ১২ টাকা ১০ পয়সা থেকে ১৪ টাকা ৫০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।