নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২৩) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আনোয়ার গ্যালভানাইজিং লিমিটেড এবং এমারাল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। আর এ প্রান্তিকে কোম্পানি দুটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আনোয়ার গ্যালভানাইজিং লিমিটেড: চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ১০ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৫৬ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় ৫৪ পয়সা বেড়েছে। এছাড়া ২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ০৭ পয়সা। প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে ৩৪ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ৫২ পয়সা ছিল।
এদিকে ২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য মোট ১০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৯৭ পয়সা। আর ৩০ জুনে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৯৮ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের অনুমোদনের জন্য আগামী ৪ ফেব্রæয়ারি ২০২৪ বেলা সাড়ে ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৪ ডিসেম্বর।
এমারাল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড: চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৪৭ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ২২ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় এক টাকা ২২ পয়সা বেড়েছে। এছাড়া ২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৮ টাকা ৯০ পয়সা (লোকসান)। প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে ২১ পয়সা (ঘাটতি), যা আগের বছর একই সময় ৭৭ পয়সা (ঘাটতি) ছিল।
এদিকে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে সর্বমোট ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ (অন্তর্বর্তীকালীন ৫ শতাংশসহ) দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭৩ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ১৭ পয়সা। ২০২৩ সালের ৩০ জুনে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ৩৭ পয়সা (লোকসান)। আর আলোচিত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছে ৩ পয়সা (ঘাটতি)। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের অনুমোদনের জন্য আগামী ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ বেলা ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২৯ নভেম্বর।
কোম্পানিটি ২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৫৯ কোটি ৭১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট ৫ কোটি ৯৭ লাখ ১৩ হাজার ৫০০ শেয়ার রয়েছে। এর মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৩৮ দশমিক ২৬ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১১ দশমিক ২৭ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে বাকি ৫০ দশমিক ৪৭ শতাংশ শেয়ার।