নিজস্ব প্রতিবেদক : চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২২) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের কোম্পানি জনতা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। আর এ প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ২ পয়সা কমেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথা জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪০ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৪২ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস কমেছে ২ পয়সা। ২০২২ সালের ৩১ মার্চ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৭৮ পয়সা। এ ছাড়া আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছে ৭৭ পয়সা, অথচ আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৯২ পয়সা।
এদিকে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৬ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ২১ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৪১ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৯২ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ১১ আগস্ট বেলা ১১টায় ডিজিটাল প্লাটফর্মের মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ জুলাই। এর আগে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য কোম্পানিটি ৬ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ২৫ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৪৫ পয়সা।
বিমা খাতের এ কোম্পানিটি ১৯৯৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন হচ্ছে। যার ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৪৪ কোটি ৩৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা। আর কোম্পানির রিজার্ভে রয়েছে ১৫ কোটি ৫ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ৪ কোটি ৪৩ লাখ ৯৮ হাজার ১২টি শেয়ারের মধ্যে ৩৯ দশমিক ০৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে আর ৯ দশমিক ৮৫ শতাংশ শেয়ার ধারণ করছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা এবং ৫১ দশমিক ১০ শতাংশ ধারণ করছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।
