নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২২) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিরামিক খাতের কোম্পানি ফু-ওয়াং সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। আর এ প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) আগের বছরের তুলনায় দুই পয়সা কমেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, কোম্পানিটির চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২২) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ৮ পয়সা। ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৮৪ পয়সা। এছাড়া আলোচিত প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৬৮ পয়সা (লোকসান), আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৫১ পয়সা।
এর আগে সর্বশেষ কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ২ শতাংশ নগদ দেয়ার ঘোষণা লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৩ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৭৮ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছে তিন টাকা ২৭ পয়সা (লোকসান)। ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের জন্য আগামী ৩১ ডিসেম্বর বেলা সাড়ে ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। আর এ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট ছিল গত ৮ ডিসেম্বর।
এর আগে ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ব্যতীত কেবল সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য দুই শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৪ পয়সা এবং ৩০ জুন, ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৭০ পয়সা। এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৫১ পয়সা।
‘বি’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি ১৯৯৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৩৬ কোটি ২৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১৫ কোটি ৬১ লাখ টাকা। কোম্পানিটির ১৩ কোটি ৬২ লাখ ৬৯ হাজার ৯৩ শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৩০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে এক শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীর কাছে শূন্য দশমিক ৪০ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ৬৮ দশমিক ৬০ শতাংশ শেয়ার।
গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদও অপরিবর্তিত থেকে প্রতিটি সর্বশেষ ১৭ টাকা ৪০ পয়সায় হাতবদল হয়। যার সমাপনী দরও ছিল একই। এদিন কোম্পানিটির মাত্র দুইটি শেয়ার একবার হাতবদল হয়। আর গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১৪ টাকা ৯০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২১ টাকা ৩০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।