Print Date & Time : 21 June 2025 Saturday 1:26 am

প্রথম প্রান্তিকে ইপিএস বেড়েছে হাইডেলবার্গ সিমেন্টের

 

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি ২০২৩-২৪ হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিমেন্ট খাতের কোম্পানি হাইডেলবার্গ সিমেন্ট বাংলাদেশ লিমিটেড। আর এই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৪) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬ টাকা ৯৬ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৬ টাকা ৮৫ পয়সা। অর্থাৎ প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় আগের বছরের তুলনায় ১১ পয়সা বেড়েছে। অন্যদিকে ২০২৪ সালের ৩১ মার্চে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৭৪ টাকা ১৬ পয়সা। আর প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ২৩ টাকা। আগের বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ২৭ টাকা ৪৯ পয়সা।

৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮ টাকা ১৩ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৬৭ টাকা ২০ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ২১ টাকা ৭৮ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ৮ মে বেলা সাড়ে ১০টায় বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৪ টাকা ১৩ পয়সা (লোকসান)। আর ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৬০ টাকা ৭ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৩ টাকা ৮০ পয়সা। এর আগে ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ২৬ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৮ টাকা ৪১ পয়সা, আর ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বরে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৬৬ টাকা ৬০ পয়সা। এর আগে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। সে সময়ে ইপিএস হয়েছিল ১ টাকা ৪৩ পয়সা (লোকসান), আর ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বরে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য ছিল ৬৮ টাকা ১০ পয়সা।

কোম্পানিটি ১৯৮৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৫৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ ২৮২ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ৫ কোটি ৬৫ লাখ ৩ হাজার ৫৯০ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৬০ দশমিক ৬৭ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ২৬ দশমিক ২২ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক ০৭ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে বাকি ১৩ দশমিক ০৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।