Print Date & Time : 30 June 2025 Monday 2:35 pm

প্রথম প্রান্তিকে জিকিউ বলপেনের লোকসান বেড়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০১৯) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিবিধ খাতের কোম্পানি জিকিউ বলপেন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। আর এই প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান বেড়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে চার টাকা ৭২ পয়সা (লোকসান), যা আগের বছর একই সময় ছিল ৪৮ পয়সা (লোকসান)। অর্থাৎ প্রথম প্রান্তিকে লোকসান আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে। আর ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৩৩ টাকা ৪৩ পয়সা, যা আগের ২০২০ সালের ৩০ জুন তারিখে ছিল ১৩৪ টাকা ২১ পয়সা। এছাড়া এ প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৮০ পয়সা (লোকসান), আগের বছর একই সময়ে ছিল ৬৪ পয়সা (লোকসান)।

এদিকে ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য শুধু সাধারণ বিনিয়োগকারীদের (উদ্যোক্তা বা পরিচালক ব্যতীত) পাঁচ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেবে কোম্পানিটি। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে সাত টাকা ৬৪ পয়সা লোকসান এবং ৩০ জুন তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৩৪ টাকা ২১ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে দুই টাকা ৭৯ পয়সা (লোকসান)।

এর আগে গত বছর ২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। ওই ইপিএস হয়েছিল এক টাকা ৭২ পয়সা লোকসান, এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য হয়েছিল ১৪৮ টাকা ২৩ পয়সা।

এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ছয় দশমিক ৪৯ শতাংশ বা ১০ টাকা ২০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ১৪৭ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১৪৭ টাকা। দিনজুড়ে এক লাখ ছয় হাজার ৪৬৮টি শেয়ার ৮৩২ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর এক কোটি ৬০ লাখ টাকা। দিনভর শেয়ারদর ১৪৬ টাকা থেকে ১৫৯ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ৫৬ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ২৫৩ টাকা ৮০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।

কোম্পানিটি ১৯৮৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানির ৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন আট কোটি ৯২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১১১ কোটি ৯ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট ৮৯ লাখ ২৮ হাজার ৯১ শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৪১ দশমিক ৮৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে এক দশমিক ৪৭ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক শূন্য পাঁচ শতাংশ এবং বাকি ৫৬ দশমিক ৬০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে।