শেয়ার বিজ ডেস্ক : চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে চীন। বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত গত বছরের একই সময়ের তুলনায় দেশটির জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ছয় দশমিক আট শতাংশ। এ বছর চীনের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ছয় দশমিক পাঁচ শতাংশ। খবর বিবিসি।
চীনের সরকারি তথ্যমতে, বছরের প্রথম তিন মাসে আগের তিন মাসের সমান জিডিপি অর্জন করেছে দেশটি। এদিকে রয়টার্সের পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল প্রথম প্রান্তিকে চীনের প্রবৃদ্ধি হবে ছয় দশমিক সাত শতাংশ। এ পূর্বাভাসকেও ছাড়িয়ে গেছে দেশটির প্রবৃদ্ধি।
চীন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ, কিন্তু ঋণের ওপর নির্ভরতার কারণে দেশটির দেনার পরিমাণ নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট চীন থেকে আমদানি করা বিভিন্ন পণ্যের ওপর অধিক শুল্কারোপ করে। পাল্টা জবাব হিসেবে চীনও বিভিন্ন মার্কিন পণ্যের আমদানির ওপর শুল্কের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। এসব ঘটনায় বাণিজ্যযুদ্ধ শুরুর আশঙ্কায় বিশ্ব নেতারা সতর্ক করে দেন। এরই মধ্যে চীন তাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধির বিষয়টি ঘোষণা করল।
এদিকে বিশ্লেষকরা বলছেন, চীন সরকার অর্থনৈতিক সংস্কার ও অভ্যন্তরীণ খরচে সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত রাখলে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য অর্জনে বিঘ্ন ঘটতে পারে। দেশটি তার প্রবৃদ্ধির কোনো ক্ষতি না করে বিদ্যমান ঋণের মাত্রা বাড়ানোর জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে।
সরকারি উপাত্তে বলা হয়েছে, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে চীনের কারখানার কার্যক্রম আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ছয় দশমিক আট শতাংশ। যদিও ব্ল–মবার্গের পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, এ কার্যক্রম প্রথম প্রান্তিকে বাড়বে ছয় দশমিক ৯ শতাংশ। গত মাসে চীনের শিল্প উৎপাদন আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ছয় শতাংশ। চীনের অর্থনীতি সারা বিশ্বের আমদানির পরিস্থিতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পণ্য ও বাণিজ্যিক সেবার দ্বিতীয় বৃহত্তম আমদানিকারক চীন। দেশটির অর্থনীতি মন্থর হলে এসব পণ্যের দাম কমে যাওয়া আশঙ্কা তৈরি হয়।
সরকারি বিনিয়োগ ও রফতানি চীনের প্রবৃদ্ধি অর্জনের অন্যতম মাধ্যম। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এ বছর স্থায়ী-সম্পদ বিনিয়োগ ছয় দশমিক তিন শতাংশ কমবে। গত বছর এ নির্দেশকটিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল সাত দশমিক দুই শতাংশ।