Print Date & Time : 21 June 2025 Saturday 12:15 pm

প্রথম প্রান্তিকে ভিয়েতনামের গার্মেন্ট রফতানি বেড়েছে ১৩ শতাংশ

শেয়ার বিজ ডেস্ক: চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে ৭৩০ কোটি ডলারের বস্ত্র ও পোশাক রফতানি করেছে ভিয়েতনাম। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় এটি ১৩ দশমিক তিন শতাংশ বেশি। দেশটির শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্প্রতি প্রকাশিত উপাত্তে এ তথ্য জানা গেছে। খবর: সিনহুয়া।
তথ্যমতে, প্রথম প্রান্তিকে যুক্তরাষ্ট্রে দেশটির বস্ত্র ও পোশাক রফতানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ১৩ দশমিক তিন শতাংশ। ইউরোপীয় ইউনিয়নে রফতানি বেড়েছে ৯ দশমিক আট শতাংশ। একই সঙ্গে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট আসিয়ানভুক্ত দেশে বস্ত্র ও পোশাক রফতানি বেড়েছে ৪০ দশমিক পাঁচ শতাংশ, জাপানে সাত দশমিক চার শতাংশ এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় রফতানি বেড়েছে ছয় দশমিক চার শতাংশ।
শুধু মার্চেই পোশাক ও বস্ত্র খাতে ভিয়েতনাম রফতানি করেছে দুই দশমিক সাত বিলিয়ন ডলার। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় এটি ১৫ দশমিক ৯ শতাংশ বেশি। ভিয়েতনামে তৈরি পোশাকের ব্যাপক চাহিদা বৃদ্ধিতে আগামী ছয় মাস বা সারা বছরই দেশটির পোশাক খাতে প্রচুর রফতানি আদেশ পাওয়ার নিশ্চয়তা পাওয়া গেছে। এ বছর শেষে ভিয়েতনামের গার্মেন্ট খাতে রফতানির পরিমাণ ৪০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে যাবে বলে দেশটির টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেল অ্যাসোসিয়েশন পূর্বাভাস দিয়েছে।
শীর্ষ পাঁচটি গার্মেন্ট রফতানিকারক দেশ হিসেবে গত বছর ভিয়েতনামের গার্মেন্ট ও বস্ত্র খাতে রফতানি আয় ছিল ৩০ দশমিক চার বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় বৃদ্ধি পায় ১৬ দশমিক ছয় শতাংশ। অবশ্য গত বছর দেশটি কাপড় আমদানিতে ব্যয় করেছে ১২ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের চেয়ে ১৩ শতাংশ বেশি। পৃথক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চামড়া ও জুতা রফতানিতে আয় বাড়াতেও মনোযোগী হচ্ছে ভিয়েতনাম। এ লক্ষ্যে ভিশন-২০৩৫ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে দেশটি।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০৩৫ সালের মধ্যে এ শিল্পের পণ্যকে ভিয়েতনামের প্রধান রফতানি পণ্যের তালিকায় নিয়ে আসতে চাইছে সরকার। পরিকল্পনায় এ খাতে বার্ষিক উৎপাদন ২০২০ সালের মধ্যে বাড়বে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ। ২০২০ থেকে ২০২৫ সালে উৎপাদনে বার্ষিক প্রবৃদ্ধি হবে আট থেকে ৯ শতাংশ এবং ২০৩০ থেকে ২০৩৫ সালে বার্ষিক প্রবৃদ্ধি হবে চার-পাঁচ শতাংশ।
এছাড়া ২০২০ সালের মধ্যে এ খাত থেকে রফতানি আয় ২৪ থেকে ২৬ বিলিয়ন ডলার, ২০২৫ সালের মধ্যে ৩৫ থেকে ৩৮ বিলিয়ন ডলার ও ২০৩৫ সালের মধ্যে বার্ষিক রফতানি আয়ের লক্ষ্য ৫০ থেকে ৬০ বিলিয়ন ডলার।
এছাড়া স্থানীয় বাজারে জুতা উৎপাদন ২০২০ সালের মধ্যে ৪৫ শতাংশ, ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৭ শতাংশ ও ২০৩৫ সলের মধ্যে ৫৫ শতাংশে উন্নীত করারও লক্ষ্য নিয়েছে ভিয়েতনাম।