Print Date & Time : 22 June 2025 Sunday 10:01 am

প্রথম প্রান্তিকে লোকসান কমেছে তাল্লু স্পিনিংয়ের

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি ২০২৩-২৪ হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২৩) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত তাল্লু স্পিনিং মিলস লিমিটেড। আর এই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান কমেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২৩) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪৮ পয়সা (লোকসান), আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৪৯ পয়সা (লোকসান)। অর্থাৎ প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান আগের বছরের তুলনায় ১ পয়সা কমেছে। অন্যদিকে ২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ৩৫ পয়সা। আর প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছে ৪ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ১ পয়সা (ঘাটতি)।

কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৯০ পয়সা (লোকসান)। ৩০ জুন, ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ৮৩ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ২ পয়সা (ঘাটতি)। কোম্পানিটি ৩০ জুন ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোনো লভ্যাংশ  দেয়নি। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ২ পয়সা  (লোকসান) এবং ২০২২ সালের ৩০ জুনে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৭৩ পয়সা। আর আলোচিত হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৪ পয়সা। এর আগের হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ৩ টাকা ২১ পয়সা (লোকসান) এবং ২০২১ সালের ৩০ জুনে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছিল ২৪ টাকা ৭৫ পয়সা। আর আলোচিত হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছিল ৭০ পয়সা। বিমা খাতের কোম্পানিটি সর্বশেষ ২০১৫ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল। ডিএসইতে প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী কোম্পানিটি ২০১৭ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছর থেকে ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছর পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে লোকসান করে আসছে।

বস্ত্র খাতের এ কোম্পানিটি ১৯৯০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘জেড’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানির ২০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৮৯ কোটি ৩৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১০৪ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট ৮ কোটি ৯৩ লাখ ৩৫ হাজার ৩৭৫ শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৩০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২১ দশমিক ৪৫ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক ১৬ শতাংশ এবং বাকি ৪৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।

এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির ৩০ হাজার ৭০০টি শেয়ার মোট ১৪ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর তিন লাখ টাকা। ওই দিন শেয়ারদর অপরিবর্তিত থেকে প্রতিটি সর্বশেষ ৯ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনভর শেয়ারদর ৯ টাকা ৯০ পয়সায় ওঠানামা করলেও গত এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ৯ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ১০ টাকা ৫০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।