প্রথম প্রান্তিকে লোকসান বেড়েছে স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকের

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি ২০২৩-২৪ হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২৩) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিরামিক খাতের কোম্পানি স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। আর এই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান বেড়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২৩) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭ টাকা ৩৪ পয়সা (লোকসান), আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৩ টাকা (লোকসান)। অর্থাৎ প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান আগের বছরের তুলনায় ৪ টাকা ৩৪ পয়সা বেড়েছে। অন্যদিকে ২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা ১৬ পয়সা (লোকসান)। আর প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৮ টাকা ১৬ পয়সা (ঘাটতি)। আগের বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ২ টাকা ২২ পয়সা (ঘাটতি)।

কভিড-১৯ এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় আলোচিত সময়ে ইপিএস কমেছে। এছাড়া সমুদ্রপথে পরিবহনের উচ্চ খরচ এবং ডলারের দামের ওঠানামা প্রভৃতি কারণে আমদানিকৃত কাঁচামালের দর অনেক বেড়ে গেছে এবং নিট মুনাফা হ্রাস পেয়েছে। কিন্তু কোম্পানিকে পুরো বেতন এবং অন্য সব নির্দিষ্ট খরচ কমেনি বরং আগের মতোই দিতে হয়েছে। এর ফলে কারখানার উৎপাদন ও বিক্রয় হ্রাস পাওয়ায় ফলে কোম্পানির ইপিএস কমে গেছে বলে জানিয়েছে কোম্পানিটি।

সর্বশেষ সর্বশেষ কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৯ টাকা ৩ পয়সা (লোকসান)। ৩০ জুন, ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছিল ১৪ টাকা ৮২ পয়সা (লোকসান)। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছিল ৯ টাকা ১০ পয়সা (ঘাটতি)।

কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৯৯ পয়সা (লোকসান)। ৩০ জুন, ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছিল ৬ টাকা ৬৬ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছিল ৯৪ পয়সা (লোকসান)। এর আগে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য এক শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৪ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৯ টাকা ৭২ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১ টাকা ২০ পয়সা।

কোম্পানিটি ১৯৯৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘জেড’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন হচ্ছে। ১০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ছয় কোটি ৪৬ লাখ ১০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট ৬৪ লাখ ৬০ হাজার ৬৫০টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৩০ দশমিক ৫০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ৬ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৬৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর অপরিবর্তিত থেকে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ১০৬ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১০৪ টাকা ৪০ পয়সা। দিনজুড়ে শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৯৮ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০৬ টাকায় হাতবদল হয়। ওইদিন ১৩ হাজার ৫৯০টি শেয়ার মোট ১৫৪ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১৪ লাখ টাকা। গত এক বছরে শেয়ারদর ৯৬ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ১০৬ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০